Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলবিদ্যুৎ আমদানিতে নেপালের সঙ্গে সমঝোতা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে নেপালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ। এই সমঝোতা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়ায় গতি আনবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে নেপাল সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। সমঝোতায় নেপাল থেকে ভারত হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি ছাড়াও নেপালের বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানির বিনিয়োগের বিষয়গুলো রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কাঠমান্ডুতে নেপালের জ্বালানি, পানি ও সেচ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে ওই সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী বর্ষা মান পুন অনন্ত। বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক অপেক্ষার পর এ চুক্তি হল। দুই দেশেরই উন্নয়নে সহযোগিতা আরও বাড়ানো দরকার। বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রেই এ সহযোগিতার প্রয়োজন। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দৈনিক ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার একটি অংশ আসবে আমদানি করা বিদ্যুত থেকে। নসরুল হামিদ বলেন, নেপালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে সে বিদ্যুৎ দেশে নিতে পারবে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা অল্প পয়সায় বিদ্যুৎ পাব। আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।”
নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জানান, নেপাল এখন ভারত থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করলেও আগামী ১০ বছরে ১৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যার বাস্তবায়নও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নেপালে বিনিয়োগ ও বিদ্যুৎ বাণিজ্যের সম্ভাবনার বিষয় নিয়েও কথা বলেন বর্ষা মান পুন অনন্ত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নেপালে পৌঁছানোর পর গতকাল সকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নসরুল হামিদ। এর পর জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়াতে এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং একটি স্টিয়ারিং কমিটি কাজ করবে। চুক্তির সময় নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গতবছর নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে ভারতের একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতাও হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ