Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃদ্ধার জমি গ্রাসের চেষ্টা

মাদারীপুর থেকে আবুল হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

মাদারীপুরে অসহায় বৃদ্ধা সোনাভান বিবির সম্পত্তি গ্রাস করে নিতে বসেছে বর্গাচাষিরা। বৃদ্ধার মালিকানাধীন প্রায় দুই একর জমি দীর্ঘদিন বর্গাচাষ করার পর এবার বর্গাচাষিরা জাল দলিলের মাধ্যমে জমির মালিক সেজে বসেছে। তারা এখন জমির ফসল বৃদ্ধাকে দেয়া তো দূরের কথা, জমির মালিকদের দখলে যেতে দিচ্ছে না। সম্পূর্ণ অন্যায় এবং বেআইনিভাবে উল্লিখিত জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করছে ভ‚মিদস্যুরা। এ ব্যাপারে বৃদ্ধার ছেলে জহিরুল হক ফকির মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বর্গাদার ওয়াদুদ শিকদার গংয়ের বিরুদ্ধে।
বর্গাচাষিদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে হতদরিদ্র জহিরুল হক ফকির মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সংশ্লিস্ট তহশিলদারকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তহশিলদার তদন্ত শেষে জমির মালিকানা জহিরুল হক ফকিরদের উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ইতোমধ্যে অসহায় বৃদ্ধা সোনাভান বিবি ও তার ছেলেরা জমি ফিরে পেতে আইনি সহায়তার পাশপাশি মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
ঘটনাস্থল চরনাচনা গ্রামে জহিরুল ফকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে তিনটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ ভাঙা কুঁড়েঘর। জহিরুলের মা সোনাভান বিবি সম্পত্তি হারানোর আশঙ্কায় ভাঙা কুঁড়েঘরের দরজায় বসে আহাজারি করছেন। অসহায় বৃদ্ধা সাংবাদিক দেখে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি তার সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আর্তি জানাতে থাকেন। বৃদ্ধা সোনাভান বিবির কান্না দেখে সাংবাদিকের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, ওরা আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আপনারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমি গ্রাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ