পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এ কারণে রাস্তায় নামছে না বাস ও মিনিবাস। এতে করে গণপরিবহন সঙ্কটে সীমাহীন দুর্ভোগ পাহাচ্ছে নগরবাসী। তবে ফিটনেসবিহীন বাস বা গাড়ি যে একেবারে চলছে না তাও নয়। রাজধানীর জুরাইন, গুলিস্তান এলাকায় গতকালও লক্কর-ঝক্কর মার্কা বাস ও হিউম্যান হলার চলতে দেখা গেছে।
বিআরটিএ-এর হিসাবে রাজধানীতে চলাচল করে ৬ হাজার বাস ও মিনিবাস। বাস মালিকদের হিসাবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত চলাচল করেছে দেড় হাজারের মতো বাস ও মিনিবাস। এ হিসাবে সাড়ে ৪ হাজার বাসই রাস্তায় নামেনি।
এদিকে, চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ চালক নিয়োগ দিয়ে গাড়ি রাস্তায় নামাবে। চুক্তির ভিত্তিতে চালকদের হাতে বাস তুলে দেওয়ার কারণে রাজধানীসহ সারা দেশের সড়কে-মহাসড়কে যে পাল্লাপাল্লি হয়, তা ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে চলাচলকারি বেশিরভাগ বাস মিনিবাসেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। একজন বাস মালিক বলেন, অনেক বাসের ফিটনেস নেই। আবার কোনটার ট্যাক্স বাকী। এই দুটো থাকলে চালকের লাইসেন্স নেই। আবার বেশিরভাগ বাসের আসন সংখ্যা বেশি। ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। এসব কারণে বাসগুলো রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, এতোদিন তাহলে বাসগুলো কিভাবে চলাচল করেছে? জানতে চাইলে একজন মালিক বলেন, এতোদিন একটাই সিস্টেম ছিল। তা হলো মাসোহারা দিয়ে চালানো। প্রতিটি গাড়ির জন্য মাসে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো। তিনি বলেন, টাকাই যদি দিবে তবে একজন মালিক কোনো কাগজপত্রের বাড়তি ঝামেলায় যাবে? মিরপুর রুটের একজন বাস মালিক জানান, মিরপুর রুটে চলাচলকারী বাস কোম্পানীগুলোর মধ্যে কয়েকটা কোম্পানীর বাস নতুন। বাকীগুলো পুরাতন। এগুলোর ফিটনেস নেই। এই সংখ্যা হাজারের কম নয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিরপুর হয়ে দিয়াবাড়ী রুটের বাসগুলো। একই সাথে আজিমপুর থেকে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনের বেশিরভাগ বাসেরই ফিটনেস নেই। বাসগুলো অতি পুরাতন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিটনেসবিহীন বাসের তালিকায় আরও আছে সদরঘাট থেকে গাজীপুর রুটে চলাচলকারী সুপ্রভাত পরিবহনের বাস। এ রুটের বেশিরভাগ বাসই লক্কর-ঝক্কর মার্কা। প্রতিটি বাসের আসন সংখ্যা বেশি। একই হাল সায়েদাবাদ থেকে গাজীপুরের তুরাগ পরিবহনের বাসের। এই কোম্পানীর বাসগুলোও অতি পুরাতন। তুরাগ পরিবহনের বাসের চালকদের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ঢাকায় চালক হতে গেলে প্রথমে তুরাগ পরিবহনের বাস চালাতে হয়। তার অর্থ হলো, লাইসেন্স ছাড়াই তুরাগের বাস চালানোর সুযোগ আছে।
এদিকে, শহরতলী সার্ভিসের মধ্যে ঢাকা-মাওয়া রুটের বাসগুলোর বেশিরভাগই চলাচলের অযোগ্য। গুলিস্তান থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোর চালকও লাইসেন্সধারী নয়। অভিযানের ভয়ে সারা ঢকা শহরের বাস রাস্তায় না নামলেও এই রুটের বেশ কয়েকটি বাস কাগজপত্র ছাড়াই রাস্তায় নেমেছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকা থেকে সাভার রুটের লাব্বাইক, সাইনবোর্ড থেকে চন্দ্রা রুটের ঠিকানা, ভুলতা থেকে কলাবাগানে মেঘলা পরিবহন, সাইনবোর্ড থেকে গাজীপুর রুটের অনাবিল, সোনারগাঁও থেকে চানখাঁরপুল রুটের স্বদেশ পরিবহনের কিছু কিছু বাস চলাচল করেছে। এছাড়া গুলিস্তান থেকে চিটাগাং রোডের শ্রাবণ, গুলিস্তান থেকে মিরপুর রুটের ট্রান্সসিলভা, যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর রুটের শিখর, আবদুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটের তেঁতুলিয়া, পল্লবী থেকে নিউ মার্কেট রুটের মিরপুর লিঙ্ক পরিবহনের কিছু বাস চলাচল করছে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত সোমবার থেকে রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। আন্দোলনের সময় বাস মালিক ও শ্রমিকরা দাবি করেছিলেন, নিরাপত্তার কারণে তারা রাস্তায় গাড়ি নামাতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের সেই কথা ইতোমধ্যে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষ। এখন কেনো বাস চলছে না এমন প্রশ্নের জবাবে সায়েদাবাদ বাস মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, কাগজপত্র না থাকলে রাস্তায় নামবে কিভাবে? ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। এখন রাস্তায় নামলে তো আবার উল্টো জরিমানা গুণতে হবে।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরেই রাস্তায় গণপরিবহন সঙ্কটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বাসের জন্য শত শত যাত্রী অপেক্ষা করছেন। অনেকক্ষন অপেক্ষার পর একটা বাস আসছে, তখন সেই বাসে চড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা।
ফিটনেসের জন্য সময় চাইবেন বাস মালিকরা
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা গাড়ির ফিটনেসের জন্য এক মাস সময় চান। গত ৬ আগস্ট গাবতলী টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এসোসিয়েশেনর এক নেতা জানান, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব বাসের ফিটনেসে ত্রুটি আছে সেগুলোর ঠিক করতে সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এক মাস সময় চাওয়া হবে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।