বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লালমনিরহাট-রংপুর বিভাগের মানুষের স্বপ্নের দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু উদ্বোধনের আগেই সংযোগ সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ এলজিইডি বিভাগের, এক শ্রেনীর দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর সহায়তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি দায়সারাভাবে কাজ করার কারনে সংযোগ সড়কের বিশাল অংশ ধসে যেতে বসেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পাননি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীরা অনিয়ম কে নিয়ম করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নি¤œমানের কাজকে বৈধতা দেয়ার জন্য সড়ক নির্মাণে তিন দফায় মোট ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। তবুও উদ্বোধনের আগেই ধসে যেতে শুরু করেছে সংযোগ সড়কটি।
যদিও লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম জাকিউর রহমান দাবি করেছেন স¤প্রতি বন্যায় তিস্তা দ্বিতীয় সড়ক সেতুর কিছু অংশ ধসে গেছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকানো গেছে। তবে বড় ধরনের বন্যা হলে কি হবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ১২৩ কোটি ৮৬লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুটি নির্মিত হয়। একই অর্থে সেতুটি রক্ষার জন্য উভয় পাশে ১৩০০ মিটার নদী শাসন বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর সাথে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের কাকিনা থেকে সেতু পর্যন্ত ৫.২৮০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দুইটি প্যাকেজে ৪ কোটি ৪৬ লাখ এবং এ সড়কে ২টি ব্রীজ ও তিনটি কালভার্ট নির্মাণে ৩টি প্যাকেজে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হয়। সেতু থেকে রংপুরের অংশে ৫৬৩ মিটার সড়ক নির্মানে ব্যয় হয় এক কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ সেতু বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর। আর এ কাজের অগ্রগতি মনিটরিং করা হয় লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে। ২০১৪ সালের ৩১ জুন নির্মান কাজ শেষ করার আশ্বাস দেয়া হয়ে ছিল। কিন্তু সময়মত কাজ করতে পারেনি। ফলে আবারো দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেতুর নির্মান কাজ সম্পন্ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কন্সট্রাকশন। এরই মধ্যে চলতি বছর জুন মাসে সেতুর কাজ এলজিইডি বিভাগ কে বুঝে দিয়েছেন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি বিভাগকে ।
স্থানীয় লোকজন জানান, ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে দুই ফিট এটেল মাটি দেয়ার কথা থাকলেও শুধু বালুর উপর খোয়া দিয়ে দায়সাড়া কাজ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ধসে যাচ্ছে সড়ক। ব্যবহৃত খোয়ার গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সুফল পাননি স্থানীয়রা। ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণেও বিস্তর অনিয়ম থাকলেও টাকার জোরে স্থানীয় প্রকৌশলীরা সব কিছু বৈধ করে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসীরা জানান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কন্সট্রাকশন এর ম্যানেজার প্রবীর কুমার বিশ্বাস নি¤œমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সেতুর কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি। সেতুটির দুধারে ৬২ মিটার করে মোট ১২৪ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ করেছি। বাকী কাজ অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।