Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবহন ও লরি শ্রমিক ধর্মঘটের জের চট্টগ্রাম বন্দরে জট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৪৫ এএম

অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের ধাক্কা শেষ না হতেই গত রোববার রাত থেকে কন্টেইনার পরিবহনে নিয়োজিত লরি শ্রমিক ১৪ ঘণ্টার আকস্মিক ধর্মঘটের জের ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে ফের জট সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে বর্তমানে স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টিইইউএস কন্টেইনারের মজুদ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও বন্দর কম-বেশী জটের মুখে পড়ে। জেটি-বার্থে অপেক্ষা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রফতানিমুখী পণ্যসামগ্রী পৌঁছাতে না পারার কারণে ইতোমধ্যে কোনো কোনো জাহাজ এসব পণ্যবোঝাই না করেই বন্দর ত্যাগ করেছে। এ অবস্থায় জাহাজের পরিচালন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পরিবহন ধর্মঘটের নেতিবাচক প্রভাব বন্দরে পড়লেও আবার পণ্য পরিবহন সচল হওয়ায় ডেলিভারি কার্যক্রম বেড়ে যাচ্ছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বন্দরমুখী ও বহির্মুখী পণ্যসামগ্রী খালাস, ডেলিভারি পরিবহনের চাপ ছিল ব্যাপক। আবার বন্দর ব্যবহারকারীদের সূত্র বলছে, অঘোষিত পরিবহন শ্রমিক-মালিক ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট জটের প্রভাব কাটতে আরও সময় লেগে যাবে। কেননা বেসরকারি আইসিডিগুলোতে (অফডক) অস্বাভাবিক পণ্য মজুদ হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে সামনে ঈদুল আজহার ছুটি, সম্ভাব্য বৈরী আবহাওয়া।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে বন্দরে কন্টেইনার পরিবহনে নিয়োজিত লরি (প্রাইম মুভার) শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ১৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন লরি শ্রমিকরা। এসময় কন্টেইনার খালাস, লোডিং-আনলোডিং, ডেলিভারি পরিবহনসহ বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। রোববার রাত ৯টার দিকে সল্টগোলায় লরি শ্রমিকদের ওপর স্থানীয় একদল দুর্বত্ত হামলা চালায়। এতে দুই শ্রমিক আহত হন। এর প্রতিবাদে লরি শ্রমিকরা মধ্যরাত ১২টা থেকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), সিসিটি, জেসিবিতে লরি চালনা বন্ধ করে দেন। পরদিন সোমবার বন্দর ভবনে পরিচালক (পরিবহন) বিভাগে বন্দর, পুলিশ ও প্রাইম মুভার অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেয়ার পর লরি শ্রমিকরা বিকেল থেকে লরি চালনা ফের শুরু করেন। তবে ১৪ ঘণ্টার লরি ধর্মঘটের জেরে বন্দরে কন্টেইনারের মজুদ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে গত রোববার পর্যন্ত মালিক ও শ্রমিকদের অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিমুখী পণ্যসামগ্রী সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। একইভাবে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রীও বন্দর থেকে যথাসময়ে খালাস, লোডিং আনলোডিং ও ডেলিভারি পরিবহন ব্যাহত হয়। গত রোববার ও সোমবার পরিবহন ধর্মঘটের জেরে ৫টি জাহাজ মোট এক হাজার ৬৯৮টিইইউএস কন্টেইনারের রফতানি চালান জাহাজে বোঝাই না করেই বন্দর ত্যাগ করে গেছে। অফডক থেকে এসব রফতানিমুখী পণ্য পরিবহন শ্রমিক-মালিক ধর্মঘটের কারণে বন্দরে যথাসময়ে পৌঁছাতে পারেনি। এতে করে রফতানিকারক, শিল্প মালিকদের গুণতে হবে বিরাট অংকের লোকসান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম বন্দরে জট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ