আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোথায় কি হচ্ছে সেটা আমরা জানি। সরকার কিছু জানে না, সেটা ভাবলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সবকিছুই আমরা জানি। সবকিছুই আমাদের নলেজে আছে। কত ষড়যন্ত্র হয়েছে, শত বৈঠক হয়েছে ব্যবস্থা নিলে কারো জেলের বাইরে থাকার কথা ছিল না। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরছি।
মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। কাদের বলেন, আমাদের ওপর যত অপবাদ ও ষড়যন্ত্র হোক না কেন। আমরা উন্নয়ন কাজ করে তার জবাব দিব। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যতটা সম্ভব ধৈর্য সহনশীলতা প্রদর্শন করব। কিন্তু ধৈর্যের বাদ ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কানাডার আদালতে প্রমাণিত সন্ত্রাসী দল
বিএনপি তাদের চিহিৃত সন্ত্রাসীদের জন্য যে কলঙ্ক অর্জন করেছিল তা আজকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছে আওয়ামী লীগের ওপর, আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর। আমরা এ ঘৃণ্য অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, এ সময়ে যারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চান, তারা টার্গেট করেন সাংবাদিকদের। কারণ সাংবাদিকদের টার্গেট করে ফায়দা তোলার চেষ্টা এ দেশে অনেকবার হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা হয়। আমাদের দেশেও আমরা তা বারবার লক্ষ্য করেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল আমি সাংবাদিকদের বলেছি, ছাত্রলীগের ওপর অপবাদ আসছে। আপনারা আমাকে তালিকা দিন। কারা কারা এতে জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থাও আমরা নিবো।
শেখ হাসিনার সরকারে আমলে অন্যায় ও অপকর্ম করে কেউ রেহাই পায় না। ছাত্রলীগের কেউ যদি সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িত থাকে তাহলে আমরা কোন অবস্থায় ছাড় দিব না। এটা আমাদের নীতি এবং সিদ্ধান্ত।
শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে জাতিসংঘের এমন বিবৃতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘে জানিয়েছি এগুলো অপপ্রচার।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চলমান আন্দোলন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা কবে হবে এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, আটঘাট বেঁধে তদন্ত হচ্ছে। যাতে ধরা পড়লে কেউ জাল ছিঁড়ে বের না হতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।