Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তদন্তে হত্যাকান্ড প্রমাণিত হলে ফৌজদারি দন্ডবিধি অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড : আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৮, ১:০৩ এএম

সড়ক পরিবহন আইনের মামলা তদন্তে যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন প্রমাণিত হয়, তাহলে দন্ডবিধি ৩০২ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ সাজা হবে মৃত্যুদন্ড। তবে এটা তদন্ত সাপেক্ষে ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারা নির্ধারণ করবে। প্রমাণিত হলে ফৌজদারি দন্ডবিধি অনুযায়ী দায়ীদের মৃত্যুদন্ড দেয়া যাবে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮এর ব্যাখ্যা দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, সংসদে পাসের আগে নতুন সড়ক পরিবহন আইন অধ্যাদেশ আকারে কার্যকরের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। আইনটি পাসের জন্য কবে সংসদে কবে যাবে তা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। মন্ত্রিসভায় আলাপ-আলোচনা হয়েছে এটা অর্ডিনেন্স (অধ্যাদেশ) করা হবে না, এটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে পাস হবে। সংসদের মাধ্যমে পাস করা হলে এই আইন নিয়ে আরও আলোচনার সুযোগ পাওয়া যাবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগের আইনে নেগলেন্সি অব ড্রাইভিং-এর সাজা ছিল ৩ বছর। বর্তমান সড়ক পরিবহন আইনে তা অজামিনযোগ্য ৫ বছর করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, তদন্তে যদি ভিন্ন তথ্য প্রমাণিত হয়, তবে তা বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা যোগ্য হবে। এখানে তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যতেই মামলা ৩০২ ধারায় না ৩০৪ ধারায় বিচার হবে- তা নির্ধারিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, নতুন আইনের প্রয়োজন ছিল, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আগ্রহ এই আইনের প্রতি রয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আইন অনেক পুরনো। সেই সময়ের চেয়ে এখন দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা ও সড়ক ব্যবস্থারও অনেক আধুনিকায়ন এবং উন্নতি হয়েছে। আদালতের রায় ও নির্দেশনাও আছে। আগের আইনে ১৭৭টি ধারা ছিল। বর্তমান আইনে তা ১২৪টি করা হয়েছে ও ১৪টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার রেগুলেটরি আনা হয়েছে, যানবাহন চালানো ও সড়ক ব্যববস্থাপনায় যা যা প্রয়োজন সব সংযোজন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, রমিজ উদ্দিনের (শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তদন্ত শেষ হলে তা দ্রæত বিচার আইনের অধীনে বিচার করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইনমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ