পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচার বিভাগের উন্নয়ন হলে স্বাধীনতা সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের চার মূল নীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হবে। অবকাঠামো নির্মাণ করলেই বিচার বিভাগের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এ মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পটুয়াখালীতে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন। পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ রোখসানা পারভীন সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় একই জেলার বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মো. শাহজাহান মিয়া, আ.স.ম ফিরোজ, এস এম শাহজাদা ও মো. মহিববুর রহমান, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মইনুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।
আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আসল সম্মান কিন্তু আমরা পাব না। তাই জনগণের কাছ থেকে আসল সম্মান পাওয়ার জন্য বিচার বিভাগের সকলকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবেÑ এই সাংবিধানিক অঙ্গীকারের আলোকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কারণ আইনের শাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আইনের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা। যে সমাজে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইনের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত। আইন মানুষকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই মর্যাদাবান ও পরিশীলিত করে। আইন যেখানে অচল, মানবাধিকার সেখানে ভূলুণ্ঠিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশ। আনিসুল হক বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সাথে বিচার বিভাগের মানোন্নয়ন জড়িত। সেজন্য মানসম্পন্ন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।