পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটে গতকালও চলেনি দুরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের বাস। এতে করে সারাদেশ কার্যত অচল হয়ে আছে। সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে দূরপাল্লার সব গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। রাজধানী থেকে ছেড়ে যায়নি আন্তঃনগরসহ দূরপাল্লার কোনও পরিবহন। তবে মালিক সমিতি সূত্র আভাস দিয়েছে আজ সোমবার থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করতে পারে।
আন্দোলনের অষ্টম দিনে গতকাল রবিবার সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন শূণ্যতা দেখা গেছে। এজন্য সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থলগামী সাধারণ মানুষ।
সকালে নগরীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের মতো গতকালও কোনও ধরণের গণপবিহন ছাড়েনি। শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা বিরাজ করছে মহাখালী, শ্যামলী, গাবতলী ও ফুলবাড়ীয়া বাস টার্মিনালেও।
সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনালের বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, কিভাবে গাড়ি নামাবো। গাড়ি নামলেই ভাঙচুর। নানা অজুহাত দেখিয়ে চালকদের ওপর হামলা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরিবহন নামাবো।
গত কয়েক দিন ধরেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৈধ গাড়ি ও চালকদের কোনও সমস্যা করছে না। তারা অবৈধ পরিবহন ও চালকের গাড়ি আটকে দিচ্ছে। তাহলে আপনাদের পরিবহন চালাতে সমস্যা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টা আসলে এমন না। আমাদের অনেক বৈধ কাগজপত্র ও লাইসেন্সধারী চালকদের ওপরেও হামলা হয়েছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বাংলা বলেন, পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। আমরা নিরাপত্তাবোধ করলে পরিবহন নামাবো। আমরা পরিবহন বন্ধ করিনি। কিন্তু আমরা পরিবহন নামাতে পারছি না। দিনে না পেরে আগে রাতে নামাতাম। কিন্তু এখন রাতেও নামাতে পারছি না।
পরিবহন শূন্যতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা। কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় চলছে সেগুলো। তারপরেও মিলছে না বলে জানান একাধিক ভুক্তভোগি। রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর রোড, সাতমসজিদ রোড, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, জিয়া উদ্যান, শ্যামলী, কল্যাণপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১, ১০ ও ১১, পল্লবী, কালশী, মগবাজার, প্রগতি সরণি, তেজগাঁও, নাবিস্কো, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী, গুলশান, বনানী, বিমানবন্দর সড়ক, খিলক্ষেত, উত্তরা ও আবদুল্লাহপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে তেমন সাধারণ যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কোনো কোনো সড়কে বিআরটিসি ও ট্রাস্ট পরিবহনের বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এ দুই পরিবহনেরও খুব কমসংখ্যক বাস চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর কোথাও কোনো যানবাহন মিলছে না। রিকশার দেখা মিললেও ভাড়া হাঁকছে কয়েক গুণ বেশি। এ জন্য অনেকেই পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। গণপরিবহন সঙ্কটে অনেকে হাসপাতালে রোগি দেখতেও যেতে পারছেন না।
এদিকে, বাসের অভাবে চাপ পড়েছে ট্রেনে। ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণ। কমলাপুরে এখন ঈদের চেয়েও বেশি ভিড়। কাউন্টার মাস্টারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে টিকিটের জন্য শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। মধ্যরাত পর্যন্ত এ ভিড় থাকছে। একইভাবে ট্রেনগুলো চলছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।