পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ জরুরি ও আইনের কিছুটা সংস্কারও দরকার বলে মনে করছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, বর্তমান আইনে যেটি আছে, সেটিও প্রয়োগ হচ্ছে না। আমি নিজেই তো দেখছি সেটি হচ্ছে না। আইন প্রয়োগ করবেন কারা? নিশ্চয়ই বাচ্চা ছেলেরা নয়, পুলিশ করবে। এ ব্যাপারে পুলিশ কেন ব্যর্থ হচ্ছে, সেটি তো আমার জানা নেই। তবে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর নায়েম রোডে অবস্থিত নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খায়রুল হক এ কথা বলেন।
বিচারপতি এ বি এম খায়রুল বলেন, আইনের কিছুটা সংস্কারও দরকার। সবচেয়ে জরুরি বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ। নতুন আইন তৈরি করতে বা সংশোধন করতে কিছুটা সময় লাগবে। যে আইন আছে সেটি ঠিকভাবে প্রয়োগ হয় না, এটি আজকের দিনে সব থেকে বড় সমস্যা। তিনি বলেন, সরকার নতুন আইন করবে, ভালো কথা। বিদ্যমান আইনে আছে, ৪০০ টাকাই হোক, আর দুই মাসই হোক তারপরও সেগুলো যদি প্রয়োগের চেষ্টা করা হয়, তাহলে কিন্তু যথেষ্ট দুর্ঘটনা কমবে। বিশেষ করে গাড়িতে স্পিড গভর্নর (গতি নিয়ন্ত্রক) লাগানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি।
সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, ড্রাইভার তো গাড়ির মালিক নন। ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে কি না, গাড়ির মালিক দেখবেন না? ওনার এটি দেখার দায়িত্ব ছিল। তিনি যদি এটি না দেখেন, তাহলে তাঁকেও তো কিছু শাস্তি নিতে হবে। গাড়ি যদি চালাতে হয়, আইন অনুসারে চালাতে হবে, দায়-দায়িত্ব নিয়ে চালাতে হবে। এখানে আইনের সংশোধন প্রয়োজন। ত্রুটিপূর্ণ যান হলেও সেখানে মাত্র এক মাস জেল আর ২০০ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা আছে। ত্রুটিপূর্ণ যানের তো রাস্তায় নামারই কথা না। এ ক্ষেত্রেও আইন অবিলম্বে সংশোধন করা প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের চলমান কার্যক্রম নিয়ে এ বি এম খায়রুল হক বলেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাচ্চারা রাস্তায় নেমেছে, যদিও এটি একেবারেই তাদের দায়দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু তাদের সতীর্থ মারা যাওয়াতে তারা নামতে বাধ্য হয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন, নিচ্ছেন, আরও নেবেন বলে আশা করছি। মনে হয় বাচ্চারা যদি ঘরে ফিরে যায়, তাহলে আমরা যারা তাদের দাদা বা নানাস্থানীয়, তাঁরা একটু স্বস্তি বোধ করি। নিবেদন হবে বাচ্চাদের প্রতি এখন বোধ হয় ঘরে ফিরে আসার সময় হয়েছে। বাচ্চারা যা করছে, বুঝিয়ে দিয়েছে, আমাদের দায়িত্বটা কি, কীভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত। আমরা বাচ্চা ছেলেদের কাছ থেকে না হয় শিখলাম, ক্ষতি কী? এখন আপাতত তোমরা বাড়ি ফিরে যাও, পড়াশোনা করো, এটি তোমাদের কাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।