রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঢাকার সাভারে ধলেশ্বরী নদীর শাখা ‘জয়নাবাড়ী’ খালটির উপর নির্মিত শতাধিক বাড়ি ভেঙে খালটি দখলমুক্ত করছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর। বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে খাল উদ্ধার অভিযান চলছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৩০ বছর আগে হেমায়েতপুর এলাকায় জয়নাবাড়ী খাল দিয়ে নৌকা চলতো। এখন প্রভাবশালীরা খালটি দখলে নিয়ে ভরাট করে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছে ও ভাড়া দিয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু দোকানপাটও রয়েছে খালের ওপর। খালটি দখল হওয়ার কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ১০ গ্রামের মানুষ একটু বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। এত বছর পর হলেও খালটি পুনরায় উদ্ধার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ খালটি উদ্ধারে পরিকল্পনা করে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, চার কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি কোথাও ৩০ ফুট আবার কোথাও ১৬০ ফুট চওড়া ছিল। দখলের কারণে দুই ফুটের খালও খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের (ইজিপিপি) আওতায় ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে খালটি উদ্ধার করা হচ্ছে। এতে খালের ওপর নির্মিত বহুতল ভবনসহ আধাপাকা শতাধিক ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিজ উদ্যোগে অনেকেই তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। যারা সহায়তায় এগিয়ে আসছে না, তাদের অবৈধ স্থাপনা ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, খাল উদ্ধারের কাজ শেষ হলে এই খালে নৌকার ওপর ভাসমান বাজার বসানো হবে। এখন যারা ফুটপাথে বাজার বসিয়ে যানজটের সৃষ্টি করছে, তখন ভাসমান বাজার হলে সেই যানজট আর থাকবে না।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিজাম আহম্মেদ বলেন, জয়নাবাড়ী খালটি দখলের কারণে যাদুর চর, জয়নাবাড়ী, স্কুলপাড়া, উল্লাহপাড়া, নিমেরটেক, সুগন্ধা হাউজিং, জোরপুল, ব্যাপারী পাড়া, নন্দুখালী, তেঁতুলঝোড়াবাসী বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতায় পড়তে হতো। কিন্তু খালটি উদ্ধার হওয়ায় এখন আর পানিবদ্ধতায় থাকতে হবে না। এই খালটি দিয়ে সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে নৌকাযোগে চলাচল করা যাবে।
খাল দখল করে তিন তলা ভবন তৈরি করেছেন আহম্মেদ আলী। তিনি বলেন, খাল দখলসহ সোয়া ছয় শতাংশ জমির উপর প্রায় ১০ বছর আগে তিনি তিন তলা একটি ভবন তৈরি করেছেন।
তবে খাল উদ্ধার অভিযান চলার আগেই তিনি নোটিশ পেয়েছেন। তাই নিজ খরচে তার দখলে থাকা খালের উপর নির্মিত ভবনের অংশ ভেঙে ফেলছেন। স্থানীয় রমজান আলী বলেন, আগে এই খাল দিয়ে তিনি নিজেও নৌকা চালাতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে খালটি দখল হয়ে যায়। তিনি নিজেও খাল দখল করে আধাপাকা ঘর করে ভাড়া দিয়েছেন। খাল উদ্ধার অভিযানের নোটিশ পেয়ে তার দখলে থাকা খালের উপর স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন।
স্থানীয় জামাল মোল্লা বলেন, আমার দখলে থাকা খালের ওপর টিনশেড ঘর করে ভাড়া দিয়েছিলাম। সবাই ভেঙে ফেলছে, তাই আমিও আমার স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছিল। এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের এ খালটি উদ্ধার হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।