পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্কুল-কলেজের ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে শিক্ষনীয় উল্লেখ করে যুক্তফ্রন্ট নেতারা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ করে সড়ক, মহাসড়ক থেকে র্যাব ও দাঙ্গা পুলিশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী , জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গণমাধ্যমে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে যে ভয়াবহ তথ্য, লক্ষ লক্ষ লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভাররা গাড়ি চালাচ্ছে। কয়েক লক্ষ ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলছে। তাদের কারণে সড়ক নিরাপদ নয়। সড়কের দায়িত্বে যারা আছেন তারা অধিকাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত, ঘুষ খেয়ে গাড়ি চালনার অনুমতি দেয়।
তারা বলেন, গত ৫দিনে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন, এই সকল তথ্য সত্য বলে প্রমাণ করেছে। সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান মোটেও কঠিন নয়। নযুক্তফ্রন্টের তিন নেতা বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি জনগণের চোখের সামনে তুলে ধরার জন্য স্কুল-কলেজে পড়া এই সকল কিশোর-তরুণদের আমরা অভিনন্দন জানাই। গাড়ীর বৈধ ডকুমেন্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ীর ইনসুরেন্সের মত অতি সাধারণ বিষয়গুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর। ট্রাফিক অব্যবস্থা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে সততা ও নিয়মানুবর্তীতা ছাড়া আর কিছুই লাগে না, তা এই কিশোররা গত কয়দিনে প্রমাণ করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এই সব কিশোর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঠিক কাজটি করছে না । একই সাথে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, সুশাসন কায়েম করা গেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে ইতিবাচক পথে পরিচালনা করা যায়। জনমন থেকে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন, তারা পূনপ্রবর্তন করেছে। পরিবর্তনের অসীম আশা জাগিয়েছে দেশবাসীর মনে। যুক্তফ্রন্ট নেতারা বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, কিশোর-তরুণদের আকাঙক্ষার অভিব্যক্তি, শিক্ষনীয় এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ করুন। রাজপথ, সড়ক, মহাসড়ক থেক, র্যাব ও দাঙ্গা পুলিশ তুলে নিন। নেতৃবৃন্দ বলেন, যুক্তফ্রন্ট মনে করে, সারাদেশের মানুষ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি পরিপূর্ণ ভাবে সমর্থন করে। তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু নিয়ে হাসি-তামাশা করা দেশের মানুষ অমানবিক ও নিষ্ঠুর বলে মনে করে। তারা ছাত্রদের ৯ দফার মধ্যে আশুপূরণীয় দাবিগুলো আগামী তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।
তারা সরকারকে বলেন, যে সমস্ত দাবি পূরণ করতে একটু বেশি সময় লাগবে, তা পূরণের পদ্ধতি ও সময়সূচি নিরুপণের জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠন করুন। দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য পাঁচ জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে নিয়ে এই কমিশনের গঠন করতে হবে। কমিশন এক মাসের মধ্যে জনসম্ক্ষে তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।
যুক্তফ্রন্ট নেতারা বলেন, আন্দোলনের সময় আক্রান্ত সকল শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা ও যারা আক্রমণ করেছিল তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে কেনো ছাত্রের বিরুদ্ধে কেনো আইনী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কারণ তারা আামাদের নন্দিত সন্তান । সারা দেশের সমস্ত অবিভাবক ও মঙ্গলাকাংখী জনগণ তাদের পাশে আছে এবং থাকবে ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্ররা প্রমাণ করেছে আন্তরিকতা থাকলে কিভাবে নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায়। ছাত্ররা এটাও প্রমাণ করেছে, যে গাড়ির ফিটনেস আছে এবং যে ড্রাইভারদের লাইসেন্স আছে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র তথা জনগণের কোনো অভিযোগ নেই। সেটা বের করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।