পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা যানবাহন থামিয়ে যেভাবে লাইসেন্স দেখতে চাইছে বা সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করছে- তা নতুন কিছু নয় এবং বাংলাদেশে তিনিই প্রথম এটা শুরু করেছিলেন। আমি রাস্তায় গিয়ে এসব চেকিং গুলো শুরু করেছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই দাবি করেন মন্ত্রী। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আতঙ্কে রাস্তায় গাড়ি নামাননি। তারা ভাবছে গাড়ি নামালে গাড়ি ভেঙ্গে ফেলবে, পুড়িয়ে ফেলবে- এই আতঙ্কে গাড়ি নামাচ্ছে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে গাড়ি নামানোর জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজধানীসহ দেশজুড়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অলিখিত ধর্মঘট এমন প্রশ্নের জবাবে সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে তো পরিস্থিতি ওরকম নেই। শিক্ষার্থীদের অবরোধ ওরকম নেই। সেজন্য আমরা মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ করেছি রাস্তায় গাড়ি নামানোর জন্য, দেখা যাক তারা কী করে। আমি তো বিআরটিসির গাড়ি চালু রেখেছি। বেসরকারি গাড়ির মালিকরা বলছে গাড়ি ভেঙে ফেলবে, পুড়িয়ে ফেলবে এ আতঙ্কে চালাতে রাজি হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে আজতো মাত্রাটা (আন্দোলন) সেরকম না, দেখা যাক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৯ দফা দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা যে দাবি দিয়েছে, সব সমাধান হয়ে যাবে প্রস্তাবিত পরিবহন আইন সংসদে পাস হলে। আইনের খসড়া আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন হবে। এরপর সংসদে পাস হবে। আইন পাস হওয়ার পর বাস্তবায়ন যখন হবে, তখন সব সমস্যারই সমাধান হবে, তাদের দাবি পূরণ হয়ে যাবে। এই আইন বাস্তবায়ন হলে রাস্তায় মাছির মতো পাখির মতো যে মানুষ মারা যায়, এটা আর থাকবে না, সবাই সতর্ক হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিএনপির পক্ষ থেকে পদত্যাগের দাবি এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপির নেতাদের আর এখন অন্য কোনো উপায় নেই। তারা কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করবে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করবে। তাদের সাহস, ক্ষমতা ও সক্ষমতা কোনোটাই নেই। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর থেকে রাজধানীতে বিক্ষোভ চালিয়ে আসা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি আটকে চালক ও যানবাহনের লাইসেন্স দেখতে চাইছে। লাইসেন্স না দেখাতে পারলে আটকে রাখছে গাড়ি। তাদের এই পরীক্ষা থেকে পুলিশের গাড়িও বাদ পড়ছে না। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এসব কাজ পুলিশের করার কথা থাকলেও এখন সেই দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের কেন নিতে হল, নতুন সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার জন্য এসব রুটিন কাজও আটকে ছিল কি না- সেই প্রশ্ন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সামনে রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে কাদের বলেন, আমি মন্ত্রী কি চেকিং করিনি আপনাদের (সাংবাদিক) নিয়ে, এটা কি কোনো দেশে করে? মন্ত্রী বলেন, আমি তো অলওয়েজ রাস্তায় ছিলাম। আমি অলওয়েজ একাজ গুলো করেছি। এটা তো নতুন তারা দেখাচ্ছে এমন তো না। এটা দেখিয়েছি বাংলাদেশে আমি। আমি রাস্তায় গিয়ে এসব চেকিং গুলো শুরু করেছি।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ক্রমান্বয়ে দাবি মেনে নেওয়া হবে, তারপর শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছাড়ছে না। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাদের বলেন, তাদের যে দাবিগুলোর সমাধান তা সড়ক পরিবহন আইনের মধ্যে আছে। এ আইন পাস হলেৃ সময় খুব দূরে না, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হলে এতে রাস্তায় পাখির মত মাছির মত মানুষ মারার যে প্রবণতা এটার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে এবং সবাই সতর্ক থাকবে। কঠিন শাস্তি থাকলে সতর্কতা আসেই। রাস্তায় বেপরোয়া চালনা ও প্রতিযোগিতার মত ঘটনার পাশাপাশি পথচারীদের পথ চলার নিয়মও প্রস্তাবিত আইনে আছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ট্রাফিক রুল মেনে চলে এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব আছে।রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে মোবাইলে কথা বলতে বলতে পার হলে খেয়াল থাকে না গাড়ি চাপা দিয়ে যাচ্ছে। সব বিষয়ই প্রস্তাবিত আইনে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।