পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাইন্সেস ছাড়া গাড়ী শুধু পরিবহন শ্রমিকরাই নয়; মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা এবং পুলিশের গাড়ীও চলাচল করার চিত্র উঠে এসেছে ছাত্র বিক্ষোভে। রাজধানীতে শিক্ষার্থীরা বাস-প্রাইভেটকার ও মোটসাইকেলের লাইন্সেস চেক করার করার সময় এ চিত্র উঠে আসে। এমপিদের পাশাপাশি মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের গাড়িও লাইসেন্স না থাকায় আটকের ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের বাধার মুখে মন্ত্রীকে পায়ে হেটে রওয়ানা দিতে দেখা যায়। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্পট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
শাহবাগ মোড়ে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানের লাইসেন্স পরীক্ষা করে। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবর রহমানের গাড়ি আটকে দেয়। তখন মুখ্য সচিব গাড়িতে ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা গাড়ি আটকে চালকের লাইসেন্স দেখতে চায়। লাইসেন্সটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এরপর সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট জাফর ইমাম লাইসেন্স নবায়ন না করায় একটি মামলা করেন। সংসদ ভবনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের ড্রাইভারের কাগজপত্র ছিল না। আসাদগেটে তার গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে বাধ্য হয়ে মন্ত্রী গাড়ি রেখে হেঁটে সংসদে প্রবেশ করেন। এই কমিটির সভাপতি লালমনিরহাট-১আসনের এমপি মোতাহার হোসেনের গাড়ির সব কিছু ঠিক থাকায় তার গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কমিটির ১০ জন সদস্যের মধ্যে পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ আর কেউ সংসদে প্রবেশ করতে পারেননি। বাধ্য হয়েই কমিটির বৈঠক বাতিল করা হয়। জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনেকে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। তাই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আগামী বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়েও আলোচনা হবে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার গাড়ির কাগজপত্র চেক করে ওই গাড়ি সংসদে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। রেজাউল করিম হীরা পরে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ভালো। তবে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না গেলেই হয়। তবে লাইসেন্স না থাকায় পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন ছাত্ররা। ধামমন্ত্রি ১৫ নম্বরের ইবনে সিনার সামনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর গাড়ি আটক করা হয়। গাড়ির চালক কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, স্যার অ্যালাউ করল ক্যান? যে চালকের লাইসেন্স নেই, তাকে কেন গাড়ি চালাতে অনুমতি দিয়েছেন? এরপর মন্ত্রী সাদা রঙের গাড়িটি থেকে নেমে যান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে বের হয়ে হাঁটা শুরু করলে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে শ্লোগান দিয়ে ওঠেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস’। সংসদে এক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে ফেঁসে যান ঝিনাইদহের পৌর মেয়র সাইদুল কবির মিন্টু। তার গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-ঠ, ১৬-০০৭৭)। তার ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই, ছিল না প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও। এজন্য তাকেও আটকে রাখা হয়।
রাজধানীর দনিয়ায় শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে পড়েন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে গিয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় অবস্থান নেন তিনি। শনিরআখড়া-দনিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়া ছাত্ররা দুপুরে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় পঙ্কজ দেবনাথের গাড়ির লাইসেন্স দেখতে চায়। এসময় তিনি ‘লাইসেন্স আপডেট, যথাযথ আছে’ বলে শিক্ষার্থীদের জানান। কিন্তু ছাত্রদের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এছাড়াও পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তার গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকায় তাদের গাড়ি আটকের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।