পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মীমের পরিবারকে সান্তনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র অনুদান দেন।
গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শোকাহত স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে গেলে দুই পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে সান্তনা দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সকালে দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের জন্য গাড়ি পাঠান প্রধানমন্ত্রী। সেই গাড়িতে চেপেই তার সঙ্গে দেখা করতে যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারীদের মধ্যে রয়েছেন নিহত মীমের মা রোকসানা বেগম, বাবা জাহাঙ্গীর আলম, বড় বোন রোকেয়া খানম রিয়া ও ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম আরাফাত। আর রাজীবের স্বজনদের মধ্যে ছিলেন মা মনোয়ারা বেগম, ছোট ভাই মো. আল আমিন ও এক বোন।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় বেসরকারি জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মীম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া বাসচাপায় আহত হন আরও ১৩ জন।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে পাঁচ দিন ধরে রাজধানীজুড়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তারা দোষী পরিবহনকর্মীদের বিচার ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানাচ্ছেন।
দেশে আরো ডেনিশ বিনিয়োগের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ এবং ডেনমার্কের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আরো ডেনিশ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ডেনিশ ইন্ডাষ্ট্রি স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দের ও প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদায়ী ডেনিশ রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিতি উইনথার্ন গতকাল প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তির সফল ব্যবহারই মানুষের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে। ’৯৬ সালে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সকল অ্যানালগ টেলিফোনকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটায়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের লক্ষে সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য বন্ধু প্রতীম এই দেশটিকে ধন্যবাদ জানান।
ডেনিশ রাষ্ট্রদূত, ১০ লাখেরও অধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মানবিক সাহায্য প্রদানে ডেনিশ সংকল্পের কথা পুণর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত এসময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলের পরিবেশগত সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, তিনি বাংলাদেশের সাফল্য লাভের বিষয়ে আশাবাদী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।