Inqilab Logo

সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খানাখন্দে বেহাল : ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

গৌরীপুর-মতলব সড়ক

দাউদকান্দি ( কুমিল্লা) থেকে সেলিম আহমেদ | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর-মতলব সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দে ভরে গেছে। এ সড়ক প্রচÐ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
সরেজমিন দেখা যায়, ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ গৌরীপুর-মতলব সড়কে বৃষ্টিতে ১৮ কিলোমিটার অংশের পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের দাউদকান্দি উপজেলায় পেন্নাই ইছাপুর মানিককান্দি বারইকান্দি, নোয়াগাঁও, বরকোটা, জয় বাংলা, খাদলা, নোয়াদ্দা, নৈয়ার, নশিপুর, দৌলতপুর, মাইথারদিয়া, পালের বাজার, কবি চন্দ্রদি, কাউয়াদি, কানাচোয়া ও নায়েরগাঁও বাজার পর্যন্ত অংশে ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। এ সব জায়গা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ২০৫টি বাঁক রয়েছে। এ বাঁকগুলো ও যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। এ সড়কে চলাচলকারী মতলব পরিবহনের বাসের মালিক ও পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল করায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পিচ উঠে ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। পরবর্তী বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে সড়কের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। তিন দিন চললেই বাসের পাতি ভেঙে যায়। তখন ঢাকা থেকে পাতি এনে নতুন পাতি লাগাতে হয়। আর বাসের অন্যান্য যন্ত্রপাতি তো নিয়মিত নষ্ট হচ্ছে। আগামী ঈদের আগে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। দাউদকান্দি উপজেলায় মাদলা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন, গৃহবধূ লিপি আক্তার ও রিকশাচালক আবুল কালাম জানান, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
দাউদকান্দির ইছাপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী শারমীন আক্তার, মুক্তা, মরিয়ম জানায়, সড়কটি দিয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে গিয়ে গাড়ির ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়। উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের ব্যবসায়ী ঝারু মিয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে দিয়ে মালামাল আনতে গিয়ে পরপরই মালবাহী ট্রাক খানাখন্দে আটকে যায়।
বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ও বারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদার জানান, উপজেলায় মাসিক সভায় সড়কটির ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, এ সড়ক দিয়ে চাঁদপুর ও ল²ীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্যা যানবাহন চলাচল করে। সড়কটিতে নিয়মিতই অস্থায়ী ভিত্তিতে সংস্কারের কাজ করা হয়। তবে বৃষ্টি থাকার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। রোদের দেখা মিললে আবার অস্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। বর্ষা শেষে স্থায়ী সংস্কারের কাজ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঝুঁকি চলাচল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ