বিএনপির আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের আর কোনো উপায় না পেয়ে এখন ছাত্রদের ওপর ভর করেছে
বিএনপি। এর আগে কোটা আন্দোলনে ভর করে কোনো লাভ হয়নি তাদের।’
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী অধিবেশনেই সড়ক পরিবহন আইন পাস করার চেষ্টা করা হবে। সার্বিক বিষয় নিয়েই আইন করা হয়েছে। এতে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে বলে তিনি আশা করেন। আইনে কি আছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি ওয়েবসাইটে দেয়া আছে।’
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে ও নিয়ম কানুন মেনে সড়কে চলাচল করতে পারে এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব আছে। তারা (ছাত্ররা) কানে ফোন দিয়ে যখন রাস্তা পার হয় তখন তাদের খেয়াল থাকে না যে গাড়ি আসছে।
মন্ত্রীদের আশ্বাসের পরও এখনো শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে উঠছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবির সমাধান সড়ক পরিবহন আইনে আছে। এই আইনটা পাশ হলে ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হলে রাস্তায় পাখির মতো মানুষ মরার প্রবণতার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে। কঠিন আইন হলে সবাই সতর্ক হবে।
বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ও আইনী জটিলতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আইনটা করা হবে বাস্তবায়নের জন্য। এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রীসভায় কথা হবে। আইন যদি সড়ক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে না পারে তাহলে সে আইনের তো প্রয়োজন নেই।
মালিকরা অধিক টাকা জমা নেয় বলে চালকদের এই রেষারেষি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়গুলোও পরবর্তী কেবিনেট মিটিং এ আলাপ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা রাস্তায় লাইসেন্স চেকসহ জনসচেতনতায় যেসব কাজ করছে. আইনের কারণে এসব বাদ পড়ে ছিল নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমিই বাংলাদেশে এসব আগে করে দেখিয়েছি। আমিই এসব শুরু করেছিলাম।