পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
গতকাল গণভবনে গিয়ে দুই নেতা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর ৩১ জুলাই রাতে রেজানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করেন সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা। কমিটি গঠনের পরপরই নেতাদের শুভেচ্ছা জানানো শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিরা। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নতুন কমিটি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সাবেক ছাগ্রলীগ নেতাদের মতে, এবারের কমিটি ছাত্রলীগকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবে। বর্তশান সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে কোনো কালিমা নেই। আর যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজে তাদেরকে ছাত্রলীগের কান্ডারী হিসেবে মনোনিত করেছেন তারা অবশ্যই যোগ্যতার সঙ্গে দায়িথ্ব পালন করবেন। এছাড়া আগামী নির্বাচনে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। তার মা রিজিয়া খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তার দাদা শামসুল হক চৌধুরী ১৯৭০ সালে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। এরপরে ১৯৭৩ ও ৭৯ সালে তিনি দুইবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ছাত্রলীগের গৌরব ফিরিয়ে আনাই আমার লক্ষ্য। ছাত্রসমাজের কাছে প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগকে আরও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা আমার দ্বিতীয় লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে থাকবে। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সারাদেশ সফরে নামার কথা জানিয়ে এ ছাত্র নেতা বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় অন্তত দুই দিন করে অবস্থান করে নৌকার পক্ষে, শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। আগামীর ছাত্রলীগ কারও স্বার্থে ব্যবহার হবে না। একমাত্র শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নই হবে আমার নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের অন্যতম কাজ।’
ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ছাত্রলীগে কোনো ‘গ্রুপিং’ থাকবে না, কোনও ‘ভাইলীগ’ থাকবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে থাকবে ছাত্রলীগ। তাদের জন্য ছাত্রলীগ সব ধরনের ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আমি মনে করি এটা শেখ হাসিনার পবিত্র আমানত। এই আমানতের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য যা যা করণীয় সবই আমরা করবো। ছাত্রলীগকে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবো যাতে বাবা-মা’রা গর্ব করে বলতে পারেন, আমার সন্তান ছাত্রলীগ করে। কোনও বয়োবৃদ্ধ ছাত্রলীগের নাম শুনলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলবেন, বেঁচে থাকো বাবা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ছাত্রলীগ গড়বো ইনশাআল্লাহ যেখানে কোনও গ্রæপিং থাকবে না, কোনো মারামারি-হানাহানি থাকবে না। ভালোবাসা দিয়ে আমরা হাসিমুখে সবাইকে বরণ করে নেবো।
শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের ভূমিকার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষাঙ্গনে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে থাকবে ছাত্রলীগ। তাদের জন্য ছাত্রলীগ সব ধরনের ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছে।
প্রার্থীতা বাতিলের তালিকা
থেকে ছাত্রলীগের
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এহসান আব্দুল্লাহ জানান, বয়স বিবেচনায় প্রার্থীতা বাতিলের তালিকা থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কর্তৃক ঘোষিত বর্তমান কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দুজনই ছিলেন বয়সের বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অযোগ্য।
এর আগে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য বয়সসীমা ২৮ বেধে দিলে সম্মেলনের পরদিন বিগত কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান লিমন, সাকিব হাসান সুইম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশদ সুজন এর সমন্বয়ে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৯৯০ সালের ১১ মে’র দিন যাদের জন্ম হয়েছে তারা প্রার্থী হতে পারবেন। অন্যদের প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য করা হবে। ।
১২ই মে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করে সভাপতি পদে ৪০ জনের ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জনের তালিকা প্রকাশ করে। অপরদিকে সভাপতি পদে ৬৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১শত ৬৯ জনকে বৈধ তালিকায় রাখা হয়। গত ১১ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনের আগে সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতৃত্বে (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) পদপ্রার্থী ছিলেন ৩২৩ জন।
প্রকাশিত প্রার্থীতা বাতিলের তালিকায় বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের নাম সভাপতির প্রার্থীতা বাতিলের তালিকায় ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নাম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয় পদের প্রার্থীতা বাতিলের তালিকায় ছিল।
অথচ প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার তালিকা থেকেই এবার ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হয়। তবে সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, পদপ্রার্থীদের সবার নাম প্রধানমন্ত্রীর নিকট জমা দেয়া হয়। সেখান থেকে তিনি নির্বাচিত করেছেন।
বয়সের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আরিফুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এই তালিকা আমরা পরবর্তীতে বাতিল করে নিয়েছি। আপার সাথে দেখা হবার পর তিনি আমাদেরকে সবার নামই পাঠাতে বলেন, ফলে আমরা সবগুলো নামই পাঠিয়েছি। আপার সাথে কবে দেখা হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সম্মেলনের পর কয়েকবার দেখা হয়েছে এর মধ্যেই বলেছেন তবে ঠিক কত তারিখে বলেছেন সেটি মনে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।