পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যারাই দায়ী, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। প্রচলিত যে আইন আছে, সে অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মীমের বাসায় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চালক বা পরিবহনকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান কোনো প্রভাব খাটাতে পারবেন না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক, আমরা মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীও দুঃখ পেয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন। সে কারণে তিনি আমাকে পরিবারটির খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীও মর্মাহত। তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তিনি খুবই কঠোর।
বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর বাস তুলে দেয়ার ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি মিমের বাবা, মা ও ভাইবোনকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় সেখানে মিমের কলেজের কয়েকজন বান্ধবী উপস্থিত ছিল। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে দিয়ার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সান্ত্বনার জবাবে দিয়ার মা, বাবা, ভাইবোনেরা শুধুই অপরাধীদের শাস্তি চেয়েছেন। কান্না জড়ানো কণ্ঠে মিমের পরিবার ও বন্ধুুরা বলেন, মিমকে তো আর পাওয়া যাবে না। যদি অপরাধীদের শাস্তি হয়, তাহলে অন্তত সান্তনাটা পাওয়া যাবে। সেখানে থাকা দিয়ার বান্ধবীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিমানবন্দর সড়কের এমইএস বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ফুটওভারব্রিজ করার দাবি জানায়। তারা বাসে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া এবং দোষী ব্যক্তিদের ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাস্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জাবালে নূর বাসে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাসটির রুট পারমিট ও চালকের লাইসেন্স ছিল কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তারা হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠিয়ে দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ কক্ষে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা বা পাল্লাপালি করা, যে কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটুক তা খুঁজে বের করা হবো। যে কারণে বা যার কারণে ঘটনা ঘটেছে তাদের শাস্তি পেতে হবে। এই নৈরাজ্যের প্রতিকার হওয়া উচিত। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম যে এলাকায় থাকেন এটি আমার নির্বাচনি এলাকা। তাই সেখানে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীও আমাকে যেতে বলেছিলেন। ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ির চালক হেলপারদে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, এটি অদক্ষ ড্রাইভারের কাজ। তাই আমি আবারও বলছি, অদক্ষ চালক হোক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি হোক অথবা ট্রাফিক আইন অমান্য করে হোক, যে কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। এজন্য দায়ীদের শাস্তি পেতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যেন ত্বরিতগতিতে এই দুর্ঘটনার বিচার হয়। তাই ছাত্রদের অনুরোধ করবো যেন তারা বাসায় ফিরে যায়।
দুর্ঘটনার মামলা ৩০২ ধারায় করা হয় না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি আইন বিষয়ে ভালো জানি না। তবে ইচ্ছা করে হত্যা করলে তো ৩০২ ধারায় মামলা হয়।
চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তারা আন্দোলন করে। এক্ষেত্রে এমন হলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, েেকউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। আসামে বাঙালি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি মানুষ মাইগ্রেন্ট হয়নি বলেই আমি জানি। কাজেই চিন্তার কিছু নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি অত বেশি ক্লিয়ার নই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি দেখছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।