বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগম (২৮) মৃত্যুর স্বামী শরিফ খানের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছয়দিন পর মামলা রেকর্ড করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ। তবে বাস এবং অপরাধীদের সনাক্তে এখনো কোন অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টেস কর্মী শিউলী বেগম কারখানার নির্ধারিত বাস ফেল করায় অন্য একটি বাস যোগে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। বাসে উঠার প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থানে পৌছার পর যাত্রী বেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত শিউলী বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীদের কাছ থেকে বাঁচতে শিউলী বেগম চলন্ত বাস থেকে লাফ দিলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনার দুইদিন পর নিহত শিউলীর স্বামী শরিফ খান অজ্ঞাত বাস ও ৪/৫ দুষ্কৃতকারীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ছয় দিন পর মঙ্গলবার মির্জাপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ কে এম মিজানুল হক অভিযোগটি নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। মামলা নাম্বার ৪৫, তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৮ ইং।
এদিকে ঘটনার পরপরই মির্জাপুর হাইওয়ে থানার এস আই আব্দুস ছামাদ ঢাকা-টাঙ্গাইর মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানী এলাকার মা সিএনজি পাম্প এবং ধেরুয়া এলাকায় অবস্থিত নাসির গ্লাস ওয়ার ই-াসট্রিস থেকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানায় আসেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেন এবং সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন। এসময় মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুল হক, গোড়াই হ্ইাওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম কাউসার, এসআই ছামাদ উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ গুলি কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহত শিউলীর পরিবারের সদস্যদের দেখানো হয়।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুল হক অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দুস্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।