পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জড়িত দোষীদের বিচার হবে, শাস্তিও হবে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমি অনুরোধ করব- প্লিজ তোমরা শান্ত হও, ক্লাসে যাও।
মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিন সিটির নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাম্মী আক্তার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে গত দুদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের কারণে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে।
এর প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সড়কে দুটি কচি প্রাণ ঝরে গেছে। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমাদের সরকার চুপ করে বসে নেই। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা চুপ করে বসে নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বিচারের সম্মুখীন করা হবে। আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বলবো- ক্লাসে ফিরে যাও, তোমরা শান্ত হও, পড়াশুনায় মনোযোগী হও।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলার এয়ারপোর্ট রোডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। তারা আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের সামনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়েছিল।নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।