Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র আলহাজ মোহাম্মদ ওসমান গণি প্রস্তাবিত এই বাজেট ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) এক হাজার ৬৭৮ কোটি ২১ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। গত অর্থবছর ঘোষিত বাজেটের ৭৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া অপ্রয়োজনীয়, অব্যবহার্য সম্পদ বিক্রয় ও অন্যান্য ঋণ গ্রহণ, ঋণ আদায় ও বিলুপ্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের স্থিতি থেকে আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। আর সরকারি অনুদান হিসেবে ধরা হয়েছে ২০০ কোটি। এছাড়া সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি।
বাজেট বক্তব্যে মোহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে ৪০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে বাজেটে। এছাড়া বাজার থেকে সেলামি বাবদ ৫০ কোটি টাকা ধরা হয়। বাজার ভাড়া বাবদ ৫০ কোটি, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৬০ কোটি টাকা ও সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ ২০০ কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক খনন ফি বাবদ ৬০ কোটি টাকা, গরুর হাট ইজারা বাবদ ২৫ কোটি টাকা, বিজ্ঞাপন বাবদ ৭ কোটি, বিদ্যুৎ বিল আদায় বাবদ ১০ কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে ডিএনসিসির।
বাজেটের ব্যয়ের উলে¬খযোগ্য খাতগুলো হলো, বেতন, পারিশ্রমিক ও ভাতা ১৭৫ কোটি টাকা; জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎখাতে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৭৮ কোটি টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে ২১ কোটি টাকা।
এসময় প্যানেল মেয়র ওসমান গণি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর যখন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন আমাদের সব কাউন্সিলররা বলেছিলেন, আনিসুল হককে আমরা সহযোগিতা করেছিলাম বলেই এতো কিছু করতে পেরেছেন তিনি। আমরা প্রতিটি কাউন্সিলর একজন আনিসুল হক হতে চাই। তার স্বপ্ন পূরণ করতে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে ডিএনসিসি’র কাজ দ্রæতগতির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যবো।
ওসমান বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। হয়তো আমাদের প্রচারমাধ্যমটা একটু দুর্বল। তবে আমরা প্রচারে বিশ্বাস করি না, কাজে বিশ্বাস করি। আগামীদিন থেকে প্রচারের দিকেও অগ্রসর হবো।
এ বছর বাজেট বই না করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে প্যানেল মেয়র বলেন, আমরা সবক্ষেত্রে খরচ একটু কমাতে চাই। যে কারণে আজ হয়তো বইটা প্রকাশ হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা করবো যে কোনো একটা নথি দেওয়ার জন্য।
ডিএনসিসি কোনো অবস্থাতেই দেউলিয়া নয় দাবি করে তিনি বলেন, ধনী এলাকার কাউন্সিলর বা প্যানেল মেয়র হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। কাজেই আমরা দেউলিয়া নয় বরং আমাদের ফান্ডে যথেষ্ট টাকা আছে।
বিদায়ী অর্থবছরের নির্ধারিত ট্যাক্স আদায় করতে না পারায় টেকনিক্যাল দুর্বলতাকে দায়ী করেন সিইও মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা গত অর্থবছরে কর (হোল্ডিং, পরিচ্ছন্ন ও লাইটিং) খাতে রাজস্ব আয় নির্ধারণ করেছিলাম ৪৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ২৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসেবে এবার ৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি অর্জিত হয়েছে। যদিও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফাসহ কাউন্সিলগণ ও কর্মকর্তাবৃন্দ। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ