পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম একটি খাতের নাম রেমিটেন্স। উন্নত দেশের অভিযাত্রা দেশকে এগিয়ে রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করছে প্রবাসীরা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট ১৪ হাজার ৯৭৮ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। রেমিটেন্স প্রবাহের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।
বাংলাদেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাকা উপার্জন করে দেশে পাঠাচ্ছেন তারা। এতে করে ব্যক্তি ও সরকার উভয় পক্ষই উপকৃত হচ্ছে।
আলোচ্য অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে সউদী আরব থেকে। এবছর দেশটি থেকে ২ হাজার ৫৯১ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশের মোট রেমিটেন্সের ১৭ শতাংশেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিটেন্স বাড়ার অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে ব্যাংকের গৃহীত নানাবিধ উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়িতে কমেছে মোবাইলে হুন্ডি ব্যবসা। হুন্ডি কমার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাতে ঝুঁকেছে অনেক প্রবাসী। এছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪ হাজার ৯৭৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ১২ হাজার ৭৬৯ মিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবাসীরা ৮০২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এসেছে ৪৬৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গতবছরের একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৩৭৪ কোটি ১১ লাখ ডলার। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্য থেকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৪ শতাংশ বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহ।
রেমিটেন্স প্রবাহের দিক থেকে সউদী আরবের পরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৮ অর্থবছরে ২ হাজার ৪২৮ দশমিক ০৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে দেশটি থেকে।
সউদী আরবের পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১,৯৯৭.৪৯ মিলিয়ন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এবছর কুয়েত থেকে ১,১৯৯.৭০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
একই সময়ে মালয়েশিয়া থেকে ১ হাজার ১০৭ দশমিক ২১ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ১ হাজার ১০৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৯৫৮ দশমিক ১৯ মিলিয়ন, কাতার থেকে ৮৪৪ দশমিক ০৬ মিলিয়ন, ইতালি থেকে ৬৬২ দশমিক ২২ মিলিয়ন এবং বাহরাইন থেকে এসেছে ৫৪১ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।