Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিরাপত্তার চাদরে সিলেট

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা চাদরে বেষ্টিত গোটা সিলেট নগরী। রাত পোহালেই সিসিক নির্বাচন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৭শ ৩২ জন। এর মধ্যে ৩৫ হাজার অস্থানীয় (নন সিলেটে) ভোট, প্রায় ৬৫ হাজার ভোট সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের। সবার নির্বিঘে ভোট গ্রহন নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে প্রশাসন।
নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নগরীতে র‌্যাবের ২৭টি এবং ১৪ প্লাটুন বিজিবি কাজ করবে। থাকছেন জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০জন সদস্য নিয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স থাকবে। নগরীর প্রতি তিনটি ওয়ার্ড মিলিয়ে থাকবে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স; এর সদস্য থাকবে ১০ জন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে র‌্যাবের ২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রে ৯২৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে, এর মধ্যে ৮০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআই ও পাঁচজন কনস্টেবলসহ সাত জন সদস্য, একজন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য, একজন পিসি (প্লাটুন কমান্ডার) আনসার সদস্য, একজন এপিসি আনসার সদস্য, ১২ জন লাঠি সহ আনসার সদস্য, ‘ঝুঁকিপূর্ণ‘কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআই ও পাঁচজন কনস্টেবলসহ সাতজন সদস্য, তিনজন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য, একজন পিসি (প্লাটুন কমান্ডার) আনসার সদস্য, একজন এপিসি আনসার সদস্য, ১২ জন লাঠিসহ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি মোবাইল ফোর্স থাকবে। পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যের সমন্বয়ে এর প্রতিটিতে সদস্য থাকবে ৩০ জন। এছাড়া প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য নিয়ে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা থাকবে ৯টি। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে এই স্ট্রাইকিং ফোর্স অ্যাকশনে যাবে। এর বাইরে নগরীর প্রতি দুই ওয়ার্ড মিলিয়ে এক প্লাটুন বিজিবি মাঠে থাকবে। ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, তা দেখবে বিজিবি। এছাড়া নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে টহল দেবে র‌্যাবের একটি করে টিম।
নির্বাচন নির্বিঘ করতে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সিলেট সিটি নির্বাচনে নয়জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চারদিন দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট গ্রহণের আগের দিন (২৯ জুলাই), ভোটের দিন এবং পরবর্তী দুই দিন এরা মাঠে থাকবেন।
ভোট সুষ্ঠু করতে গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে বহিরাগতদের সিটি এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এছাড়া ভোটের তিন দিন আগে থেকে ভোটের পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান সিসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ’নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নগরীতে র‌্যাবের ২৭টি এবং ১৪ প্লাটুন বিজিবি কাজ করবে। থাকছেন জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।



 

Show all comments
  • সফিক আহমেদ ৩০ জুলাই, ২০১৮, ২:২৮ এএম says : 0
    জনগণ ভোট দিতে পারবে তো ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশন নির্বাচন

২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ