বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মালামাল দ্রুত ও দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং এর সুবিধার জন্য মোংলা বন্দরে ১৪সারি বিশিষ্ট কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ হতে কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এর লক্ষ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। জার্মানির বিখ্যাত ক্রেন ম্যানুফ্যাকচারার ব্রান্ডের মোবাইল হারবার ক্রেনটির এল সি উন্মুক্তকরণের ২৫০ দিন সময়ের মধ্যে টেস্টিং কমিশনিং সম্পাদন সম্ভব হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাংলাদেশের সাইফ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড মোবাইল হারবার ক্রেনটি সরবরাহ করবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যববস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা বন্দরে বর্তমানে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং উপযোগী ক্রেন নেই। মোবাইল হারবার ক্রেনটি সংগৃহীত হলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ ও বার্জ দ্রæত হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। বিদ্যমান জেটিতে বার্ষিক অতিরিক্ত ৩৬টির বেশি কন্টেইনারবাহী জাহাজ/বার্জ হ্যান্ডলিং এর ফলে ১২ কোটি টাকার অধিক মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।
শাজাহান খান বলেন, মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পর এ ধরণের একটি ক্রেন সংগ্রহ করা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ক্রেন কেনা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, মোংলা বন্দরের মালামাল দ্রæত ও দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডলিং এর সুবিধার জন্য মোংলা বন্দরে ১৪ সারি বিশিষ্ট কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ হতে কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এর লক্ষ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহ করতে যাচ্ছে।
নৌমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে মোংলা বন্দরের লোকসান কাটিয়ে লাভের ধারায় ফিরে এসেছে। ২০০১-২০০৬ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে মোংলা বন্দর লোকসান করেছিল সাড়ে ১১ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মোংলা বন্দর লাভ করেছে ৯৫ কোটি টাকা।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৪টি উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে এবং ৬টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।