পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসি) আওতাধীন ধানমন্ডি, কলাবাগান, সেগুনবাগিচা ও মন্ত্রীপাড়া এলাকার ৪৫ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর জীবানু ছড়ায় এমন এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তবে ডিসিসি’র অন্যান্য অঞ্চলে এ মশার উপস্থিতি খুবই কম বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে এডিশ মশার লার্ভা সনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণ শীর্ষক এক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, এর আগে এডিস মশার লার্ভা-প্রজননস্থল সনাক্তকরন ও ধংসকরণ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে ডিএসসিসির এই অঞ্চলে ব্যাপক হারে এডিশন মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুন থেকে এই কর্মসূচি’র আওতায় প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসায় বাসায় গিয়ে ডিএসসিসির মশক নিধন কর্মীরা মশকের লার্ভা ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি ওইসব বাসা মালিকদের এ বিষয়য়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দান করেছে। এ অভিযানের এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫৪২টি বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
সাঈদ খোকন বলেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যেমে আমরা জানতে পেরেছি ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর প্রায় ৪৫ শতাংশ বাড়িতেই মশকের লার্ভা পাওয়া গেছে যা খুবই উদ্বেগ জনক। এ কারণে আমরা এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণে আবারও কর্মসূচি নিয়েছি। এতে অঞ্চল-১ কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে ধানমন্ডি, কলাবাগান, মন্ত্রীপাড়া ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাসাগুলোতে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এই এলাকার প্রায় প্রতি ৩ বাড়ির একটিতে আমরা মশকের লার্ভা পেয়েছি। এছাড়া ডিএসসিসির অঞ্চল ২, ৩, ৪ ও ৫ এলাকার অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো আছে। হিসেব অনুযায়ী ওই এলাকার বাড়িগুলোর অবস্থা অতটা উদ্বেগজনক নয়।
তিনি আরও বলেন, এসময় মেয়র তার সংস্থার মতো ঢাকার আশপাশের সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকেও এক যোগে এই কর্মসূচি পালন করার আহŸান জানান।
অন্যান্যের মধ্যে এই কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন-ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত ২৬ জুন থেকে মেয়র সাঈদ খোকন ডিএসসিসি এলাকাকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ামুক্ত করার লক্ষ্যে ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে এডিস মশার প্রজনন স্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণে পক্ষকালব্যাপী কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ঐ কর্মসূচির আওতায় ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১০০টি করে ৫ হাজার ৭০০টি বাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে এডিস মশার প্রজনন স্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণ কার্যক্রম চালানো হয়ে। কিভাবে মশার বংশ বিস্তারের প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হয় তাও শিখিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা দক্ষিণের নাগরিকগণদেরকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ামুক্ত রাখার লক্ষ্যে গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবছরও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এডিস মশা যেহেতু পরিচ্ছন্ন পানিতে জন্মে তাই গৃহঅভ্যন্তরের এসি, ফ্রিজ ফুলের টবে জমে থাকা পানি এবং বাড়ির আঙিনা ও এর আশপাশে পড়ে থাকা পানির রবাতল, ক্যান, ডাবের খোসা ইত্যাদি অপসারণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি গণমাধ্যম কর্মীদেরও সহায়তা কামনা করেছেন ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।