পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিজেপি বিরোধীদের একাট্টা করার কঠিন লড়াইয়ে জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলগুলোর ঐক্য যাতে না ভাঙে সে ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক তিনি। শুক্রবার নতুন করে সে সতর্কতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। মমতা ব্যানার্জি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভারতের বিরোধীদলের পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে কারো নাম বাছাই করা উচিত হবে না। কারণ তাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইরত আঞ্চলিক দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট হবে।
শুক্রবার কোলকাতায় ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) সিনিয়র নেতা ওমর আবদুল্লাহর সাথে বৈঠকের পর মমতা ব্যানার্জি এ কথা বলেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ। দেশের কল্যাণের জন্য তাদের ত্যাগ স্বীকার করা উচিত।
ওমর আবদুল্লাহর সাথে বৈঠকের পর তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, দয়া করে বিশেষ কারো নাম পছন্দ করে আমাদের বিভক্ত করবেন না।
একটি ফোরাম আলোচনায় অংশ নিতে ওমর আবদুল্লাহ কোলকাতায় আসেন। সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে ২০১৯ সালে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভারতের বিরোধী দল তাদের প্রার্থী হিসেবে মমতা ব্যানার্জিকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত কিনা। মমতা ব্যানার্জির কথার প্রতিধ্বনি করে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করার সময় এখনো আসেনি। তিনি বলেন , আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও বিজেপির বিরুদ্ধে একটি শক্ত লড়াই। তারপর আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
মমতা বলেন, আমি মনে করি, সকল আঞ্চলিক দল, বিজেপি বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। একটি বা দু’টি দল হয়ত থাকবে না, তবে বেশির ভাগই একসাথে কাজ করছে। আমাদের উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিজেপির সোচ্চার সমালোচক। তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদলগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করার বদলে গেরুয়া রঙের বিরুদ্ধে ‘এক -বনাম-এক’ ভিত্তিতে লড়াইয়ের আয়োজন করছেন। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার লোকসভা নির্বাচন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গেরুয়া দল স্বৈরশাসকের মত কাজ করছে। তাই সকল বিজেপি বিরোধীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিজেপি বিরোধীরা এটা মানতে পারি না। আসুন, দেশের জন্য আমরা সব কিছু ত্যাগ করি, কিন্তু জনগণকে বলি দিতে পারব না। তাই আমাদের জনগণের জন্য লড়াই করতে হবে। আমাদের চ‚ড়ান্ত লক্ষ্য ২০১৯ সালে জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার ও জনগণের জন্য সরকার।
কংগ্রেস বিজেপি বিরোধী জোটের অংশ হবে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে আবদুল্লাহ বলেন, বিজেপি বিরোধী সকল দলকে জোটের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ জন্য কোনো শর্ত আরোপ করা হবে না।
তিনি বলেন, মমতাদি এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় মনোযোগ সংহত রেখেছেন। পরবর্তীতে আমরা দেশের অনুরূপ ধরনের কল্যাণে (যা তিনি রাজ্যের জন্য করছেন) কাজে লাগাব। কিন্তু আমরা যদি বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনা চালাতে থাকি তাহলে আমাদের মূল লক্ষ্য হারিয়ে ফেলব ও বিজেপিকে হারানোর উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সম্ভাব্য কেন্দ্রীয় ফ্রন্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একটি খাঁটি কেন্দ্রীয় জোটের দলগুলোর মধ্যে কোনো মতভেদ থাকে না। আমাদের (টিএমসি, এনসি) মধ্যে মতভেদ হওয়ার কিছু নেই। আমাদের যা করতে হবে হবে তা হচ্ছে যেখানে সম্ভব সেখানে একমত হওয়া। আমাদের পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে।
ভারতের রাজ্য সভায় কাশ্মীরের প্রতিনিধিত্ব করার কেউ না থাকায় টিএমসির এমপি ডেরেক ও ব্রায়েন রাজ্যসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয় উত্থাপন করে থাকেন।
ওমর আবদুল্লাহ বলেন, অন্য দলগুলোকেও জোটের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা মতভেদ দূরে সারিয়ে রাখব এবং ২০১৯ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামব।
তিনি বলেন, তাদের কেন্দ্রীয় জোট নাম দিয়েছে মিডিয়া, বিরোধী দলগুলো এ নামকরণ করেনি।
মমতা ব্যানার্জির সাথে তার আলোচনা বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। বিশেষ করে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সে বিষয় এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের ব্যাপারটি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কাশ্মীরের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিেেয় নিয়ে তিনি মমতার সাথে আলোচনা করেছেন। কারণ কাশ্মীর নিয়ে তার ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।