পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা ভারীবর্ষণে কক্সবাজার শহরের লিংক রোডস্থ মুহুরীপাড়ায় ৫ একর পাহাড়ি ভূমিতে ফাটলসহ পাহাড় ধস হয়েছে। এতে সাতটি বসতবাড়িসহ দুই দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির কবলে পড়েছে ১৫টি পরিবার। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, সকালে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ ভূমি ধসে আটকে পড়া বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে। এটা চলে বিকেল পর্যন্ত। এতে কেউ হতাহত হয়নি। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান আরও বলেন, কক্সবাজারের শহরের লিংক রোডস্থ মুহুরীপাড়ার বিসিক শিল্প এলাকার দক্ষিণ পাশে প্রায় দেড়শত ফুট উঁচু একটি পাহাড় ধসে পড়ে। পাহাড় ধসে দুটি দোকান ও ৭টি বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। পাশের আরও একটি পাহাড়ে ফাটল সৃষ্টি হয়। এতেও কয়েকটি বাসাবাড়ি ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কক্সবাজারের দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আলী কবির বলেন, দেড়শ ফুট উঁচু পাহাড়টির কিছু অংশ কেটে ফেলে স্থানীয়রা। গত কয়েকদিন ধরে চলা অতিবর্ষণে বৃষ্টির পানি সহজে পাহাড়ের ভেতরের মাটিতে ঢুকে পড়ায় পাহাড়টি ধসে পড়েছে বলে ধারণা করছি। ধসে পড়ার পর পাহাড়ের কিছু কিছু অংশে ফাটল ধরেছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধস অব্যাহত থাকবে। ফলে পাহাড়ে ও পাদদেশে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হাসান বলেন, কক্সবাজার শহর ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় জনবসতি প্রখর। অনেক নিষেধ কিংবা আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরও তাদের সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। মৃত্যু ঝুঁকি জানলেও পাহাড় ছাড়তে চায় না এখানে অবস্থানকারীরা। এরপরও পাহাড় ধস ও ফাটল এলাকা থেকে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ, দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।