Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকির মুখে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ পদ্মা-মেঘনায় তীব্র স্রোত

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

উজান থেকে আসা পানির প্রভাবে তীব্র ¯্রােত বইছে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায়। প্রবল পানির চাপে ঝুঁকির মুখে পড়েছে শহররক্ষা ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। একই সঙ্গে পানির উচ্চতাও বেড়ে চলেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। কোনো কোনো স্থানে বাঁধের আশপাশের নদী তীরে ফাঁটল ধরেছে। দেবে গেছে কিছু এলাকার সিসি বøক। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে শহরের পুরানবাজার হরিসভা এলাকা, সদরের তরপুরচÐি ইউনিয়নের আনন্দবাজার, হরিণা ফেরিঘাট, হাইমচরের জনতাবাজার, আমতলী, কাটাখালি ও এর আশপাশের এলাকা।
পানির ¯্রােতের কারণে ইতিমধ্যে ঐ সব এলাকার নদীপাড় ভেঙে গেছে। দেবে গেছে নদী তীর সংরক্ষণের সিসি বøক। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা। অতীতে এমন ¯্রােতের কাছে পৈতৃক ভিটাসহ সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকেই। ফলে নতুন করে তাদের মধ্যে আবারো ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলার হাইমচরের চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাস্টার বলেন, ‘এই মুহুর্তে নদী তীর রক্ষা করা না গেলে বাড়িঘর, ফসলি জমি, বাগান ও বাজার ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে।’
হাইমচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কবির শেখ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে এসব এলাকা রক্ষায় প্রায় সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন তা হুমকির মুখে।’ তাই অতীতে মতো নদীপাড়ের জনপদ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহŸান জানান এ জনপ্রতিনিধি।
এদিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদেও ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু বসতবাড়ি, ফসলি জমি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সফিউলাহ সরকার বলেন, ‘স্কুলটি নিয়ে প্রতি মুহুর্তে আতঙ্কে আছি।’ রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, ‘এলাকার নদীভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
নদী তীর সংরক্ষণ এবং বাঁধ রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর) মো. আবু রায়হান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় প্রয়োজনীয় বালিভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছে। তবে এসব আপতকালীন ব্যবস্থা হলেও বরাদ্দ সাপেক্ষে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে।
চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন থেকে দক্ষিণের হাইমচর পর্যন্ত নদীপাড়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা রয়েছে ৩০ কিলোমিটার। এ সরকারের প্রথম মেয়াদে চাঁদপুর শহর ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষায় প্রায় সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ