পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেষ মুহুর্তের প্রচার প্রচারণায় বাধ সেধেছে বৃষ্টি। শ্রাবণ স্বরুপে ফিরেছে। গতকাল ছিল নির্বাচনের আগে শেষ জুম্মা। বৃষ্টির মধ্যে প্রার্থীরা ছুটে গেছেন বিভিন্ন মসজিদে। দোয়া চেয়েছেন ইমাম সাহেবের কাছে, মহল্লাবাসির কাছে। নামাজ শেষে মসুল্লিদের সাথে কোলাকুলি, হাত মেলানো, আর কর্মীরা হাতে হাতে ধরিয়ে দিয়েছে প্রচারপত্র।
জনগণ বিপুলভাবে নৌকার পক্ষে রায় দেবে : লিটন
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী লিটন বলেছেন, ‘নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি জনগণ বিপুলভাবে নৌকার পক্ষে রায় দেবে, রাজশাহীতে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। লিটন বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি নির্বাচনে সেনা মোতায়নের মতো কোনো পরিবেশ হয়নি। তাই সেনা মোতায়নের প্রয়োজন নেই। তারপরও যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে, মোতায়ন করতে পারে, সেটি তাদের ব্যাপার।’
বিএনপির ঢালাও মিথ্যাচারের ব্যাপারে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মিথ্যাচার করে আসছে। আমরা জানতাম যে নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত তারা মিথ্যাচার করবে, তাই হচ্ছে। তারা ভোট ডাকাতির কথা বলছে। ভোট ডাকাতির ইতিহাস তো তারাই সৃষ্টি করেছে। মাগুরায় ভোট ডাকাতি হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। আমাদের ভোট ডাকাতির প্রয়োজন নেই। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণকে নিয়ে আমরা চলি। জনগণের ভোটে আমরা বিজয়ী হবো। তিনি আরো বলেন, জামায়াত-শিবিরের যদি অরাজনৈতিক তৎপরতা না হয়। তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। গতকাল দুপুরে নগরীর জাহাজঘাট জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। নামাজ শেষে জাহাজঘাট, ধরমপুর, খোজাপুর ও তালাইমারি মোড়ে গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৯০ শতাংশ নির্বাচনী কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ ঘরানার : বুলবুল
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯০ শতাংশ প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার আওয়ামী লীগ ‘ঘরানার’ লোক থেকে বাছাই করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গতকাল শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তাদের মাধ্যমে আগের রাতে নৌকায় সিলমারা ব্যালট ভোটকেন্দ্রে লুকিয়ে রাখার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল সকালে রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ত্রাসী কর্মকান্ড তারা করবেই। তারা চেষ্টা করছে ভোটের আগের দিন প্রিজাইডিং অফিসারদের দিয়ে ভোট কেটে বিভিন্ন জায়গায় সেটা লুকিয়ে রাখা হবে, (স্কুলের) হেডমাস্টারের রুমে বা এসিট্যান্ট হেডমাস্টারের রুমে, আমি বলব, এসব জায়গায় সার্চলাইট দেওয়া হোক। নিরপেক্ষ লোকদের’ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার করার দাবি জানান তিনি। গতকাল সকালে নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীপুর এলাকার কাঁচাবাজার থেকে দিনের প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী। এ সময় মানুষের কাছে লিফলেট বিতরণ করে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন চান তিনি। আওয়ামী লীগ প্রচারণা শুরু থেকে সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে অভিযোগ করে বুলবুল বলেন, আওয়ামী লীগের পোস্টার সন্ত্রাস থেকে আরম্ভ করে এখন পর্যন্ত যে সন্ত্রাসগুলি করেছে, সমস্ত কিছু আমরা আপনাদের মাধ্যমে বলেছি জনগণের কাছে এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।” নির্বাচন কমিশন থেকে ওইসবের কোনো প্রতিকার পাননি অভিযোগ করে বুলবুল বলেন, “নির্বাচন কমিশন এখন গৃহপালিত পশুর মতো, জন্তুর মতো আচরণ করছে। এখানে সরকারের যে ভূমিকা বা নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা রাখা উচিত ছিল, অন্যান্য দেশে যেটা হয়, সে ভূমিকা এখানে নাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, সেনাবাহিনী নিয়োগ করে রাজশাহী নিরপেক্ষ ভোটের অবস্থান সৃষ্টি করা হোক। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এটা জনগণের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ থাকবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।