পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশালে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। তবে আকষ্মিকভাবেই পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বাসায় হানা দিতে শুরু করে। মামলা দায়ের ও গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠায় এ নগরীর দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। গতকাল সকালে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক অফিসে মেয়র প্রার্থীদের বৈঠকে কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সামেনে বিষয়টি তুলে ধরেন ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারোয়ার। এমনকি এ ব্যপারে হাইকোর্টের রুলের কথাও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনার এ ব্যাপারে কিছুটা বিষ্ময় প্রকাশও করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান ইসি। গত রাতে বরিশাল ত্যাগের আগে তিনি বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনারের সাথে পুনরায় বৈঠক করেন। তবে তার বৈঠকের পরেও পুলিশী হয়রানি অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।
গতকাল ২০ দলীয় জোট প্রার্থী তার দলীয় নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশী তল্লাশীসহ একাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন। এমনকি অনেককে ভুয়া মামলায় আসামি হিসেবেও গ্রেফতার করার অভিযোগ করা হয়েছে। নগরীর কোতয়ালী ও কাউনিয়া থানায় পুলিশ বাদি হয়ে শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দয়েরেরও অভিযোগ করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, যেহেতু বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা, এমন নির্দেশনার রয়েছে নির্বাচন কমিশনের, তাই এখন পুলিশ নিজেই বাদি হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন কৌশলে হয়রানি শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চও বরিশাল সিটি নির্বাচনী এলাকায় আপিল বিভাগের নির্দশনা অনুসরণ করেই কেবল গ্রেফতার করতে রুল জারি করেছে।
এরইমধ্যে গতকালও দিনভরই প্রচারণায় ছিলেন মুজিবুর রহমান সারোয়ার। গতকাল তিনি নগরীর ২৮নম্বরসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। বিকেল ও রাতে কয়েকটি পথসভায়ও বক্তব্য রাখেন সারোয়ার।
এদিকে গতকাল নির্বাচনের আগের শেষ জুমায় প্রায় সব প্রার্থীই বিভিন্ন মসজিদে জুমার জামাতে শরিক হয়ে সবার কাছে দোয়া চান।
বিকেলে মহাজোট প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ কালীবাড়ী রোডে তার পৈত্রিক বাস ভবনে জোটের পক্ষে এক সাংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তিনি জানান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পদক একএম জাহাঙ্গীর। এ সময় নগরীতে একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বজায় রয়েছে এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে সিটি নির্বাচন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মহাজোট নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বিকেল সাদিক আবদুল্লাহ নগরীর বিভিন্নজনের কাছে এসএমএস বার্তায় ‘সমৃদ্ধির পথ ধরে সামনে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে সকলকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান’ জানিয়েছেন।
অপরদিকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে প্রচারণা বন্ধ করে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনার পরেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস গতকালও মহানগরীতে গণসংযোগসহ সব ধরনের প্রচারণায় ছিলেন। সকালে তিনি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সভায়ও যোগ দেন। নগরীতে মাইকযোগে তার প্রচারণা অব্যাহত ছিল গতরাত ৮টা পর্যন্তই।
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুবও গতকাল নগরীতে প্রচারণায় ছিলেন। তিনি নগরীতে গণসংযোগ ছাড়াও পথসভাও করছেন। তবে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন শেষ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী শক্ত অবস্থান নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকায় যথেষ্ট স্বস্তি রয়েছে মহাজোট শিবিরে। মহাজোটের পক্ষ থেকে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ভোটের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে ।
এদিকে বাসদ প্রার্থী ডা.মনিষা চক্রবর্তীও গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। কমিউনিষ্ট পার্টির প্রার্থী একে আজাদ তার নিজস্ব বলয়ে সীমিত কিছু প্রচারণায় রয়েছেন। জাপা থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমদ ঝুনুও তার নিজের গন্ডিতে প্রচারণায় ছিলেন।
তবে সময়ের সাথে ভোটের চালচিত্র পরিবর্তন হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহের চেয়ে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। খুলনা ও গাজীপুরের পরে বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের গত কিছুদিনের বক্তব্য ও তৎপরতায় নগরবাসী কিছুটা আশ্বস্ত হলেও সেখানে চিড় ধরেছে ইতোমধ্যে। ফলে বিগত দুটি সিটি নির্বাচনের আদলেই বরিশালের নির্বাচন হলে জনগনের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগটি আর থাকবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন করতে শুরু করেছন অনেক ভোটার। তবে পরিস্থিতি যতই খারপ হবে এবং কোন বিতর্কিত নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী বিজয়ী হলেও তা জনগণের মতামতের কাছে ভবিষ্যতে তাদের পরাজয়ই ডেকে অনতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।