পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই, তবে দলটির সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ফোনে কথা বললে দূরত্ব অনেকটা কমে আসতে পারে।
তবে এই ফোন যে সংলাপের জন্য নয় তা পরিষ্কার করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সংলাপের কথা বলিনি। আমি বলেছি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব কখনও আমাকে টেলিফোন করেন না।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান রোডে মেট্রোরেলের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডার স্ট্যান্ডিংয়ের (সম্পর্ক) জন্য বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বাকি আর মাত্র পৌনে তিন মাস। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিক সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। সবকিছুই কি আনুষ্ঠানিক হতে হবে। চোখে দেখাদেখি না হোক, টেলিফোনে তো অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হতে পারে। এতে করে নিজেদের দূরত্ব কমে যায়। টেলিফোনে কথা বললে সমস্যা কোথায়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুল ব্যাখ্যা দিবেন কেন? আমি বলেছি আমাদের সঙ্গে কথা বার্তা তো হতে পারে। আনুষ্ঠানিক সংলাপের বিষয়ে আমি কোন কথা বলিনি। আমি মনে করি আগে যা বলেছি এখনও তাই বলবো। নির্বাচনে তফসিল ঘোষনার আর মাত্র তিন মাস বাকি। এই তিন মাসের মধ্যে সিডিউল ডিক্লার হবে, এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোন সংলাপের প্রয়োজন আমরা মনে করি না।
তিনি আরও বলেন, কাদের সিদ্দিকি সাহেব ফোন করেছেন তিনি কথা বলতে চান। তাকে আমি বলেছি আসেন। অনান্ষ্ঠুানিক আলাপ আলোচনা হতে পারে। আর কিছু না হোক চোখ দেখা দেখি না হোক টেলিফোনে তো সংলাপ করা যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এর মধ্যে আমাদের অনেক গেপ, মনের মধ্যে অনেক দুরত্ব হয়ে যায়, দীর্ঘ দিন দেখা নেই। সবই কি আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমিত থাকবে। আমরা কি কথা বার্তা বলবো না। টেলিফোনে কথা বলতে অসুবিধা কি? আমি বলেছি বিএনপি মহাসচিব আমাকে কখনো ফোন করেন নি। আমি বলিনি যে আমি সংলাপের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এর ভুল ব্যখ্যা দিবেন না প্লিজ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সম্প্র্রসারিত হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, এটা মেরুকরণের বিষয়। নির্বাচন এলে পোলারাইজেশন হবে। দেশে অ্যালায়েন্স পলিটিক্স তো আছে। বাড়তেও পারে, অনেকে জোটে আসতে চাইছে। অনেকে আবার আলাদা জোট গঠন করছে। শেষ পর্যন্ত এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় দেখা যাবে।
তিনি বলেন, অনেকেই তো জোটে আসতে চাইছে। অনেকেই আবার নিজেরাই আলাদা জোটে ডুকতে চাইছে। বিএনপির সঙ্গেও থাকবে না আওয়ামী লীগের সঙ্গেও নয়। এমন জোটও হতে পারে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাড়ায় এটা পরিস্কার হবে অক্টোবরে।
সরকাররের উন্নয়নের পাশাপাশি কয়লা দূর্নীতির খবর সরকারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার বিষয়টা নিয়ে কি ভাবছে? এসব ঘটনা পৃথিবীর সব দেশেই ঘটে থাকে। আমার বক্তব্য হচ্ছে সরকার এখানে প্রো-একটিভ কি না। এই বিষয়টি সরকার কনসার্ন কতটা।
তিনি সরকার তো বিষয়টা সিরিয়াসলী দেখছে এবং এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ এ ব্যপারে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছে।
আরও বলেন, আমার কথা হচ্ছে দেশে এত কর্মকান্ড হচ্ছে, এখানে এধরণের ঘটনা ঘটতে পারে, ঘটলে সরকার যদি এখানে নিরব থাকে বা এটাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় সেখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন। সরকার তো এখানে নিরব নয়, সরকার এখানে কঠোর হস্তে দেখছে।
জবঢ়ষু জবঢ়ষু অষষ ঋড়ৎধিৎফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।