পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিল্লি সফরের সাফল্য দেশবাসীকে জানাতে গতকাল বনানীর নিজ কার্যালয় রজনীগন্ধা’য় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু নিজেই সেই সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। তার স্থলে বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বৃষ্টিতে ভিজে যানজট ঠেলে সংবাদিকরা সম্মেলনে হাজির হলে রুহুল আমিন প্রথমেই জানান সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেয়া হবে না। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেটা ভারত চায়। পাশাপাশি বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। এ সময় দলের কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, ভারতীয় নেতৃবৃন্দ তাদের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত বজায় রাখতে তাদের নৈতিক সমর্থন সব সময় থাকবে। আমাদের ভারত সফর নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। অনেক জল্পনা ও কল্পনারও সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন এসেছে কেন আমরা হঠাৎ করে দিল্লি সফরে গেলাম। এই সফর নিয়ে দেশেবাসী ও মিডিয়াকে ধুম্রজালের মধ্যে রাখতে চাই না। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জাপা চেয়ারম্যানের বাসভবনে গিয়ে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালে দিল্লি সফর করেছি। সফরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোলাভালের সাথে বৈঠন নির্ধারণ ছিল। তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এই তিন নেতার সাথে অভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা হযেছে। ভারতীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তাদের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সাথে বিরাজমান সুসম্পর্ক আরো সৃদৃঢ় দেখতে চায়। তারা একান্ত ভাবে প্রত্যাাশা করেছেন বাংলাদেশের গণাতান্ত্রিক পরিবেশ যেন বজাায় থাকে। তারা আরো বলেছেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। ভারতীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা রাখায় জাতীয় পার্টির ভুমিকার ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থেকেও সরকারের সাথে দায়িত পালন করছে। এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি আরো বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন থেকে জানাচ্ছি বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশ দিচ্ছি। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নৌকার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। উল্লেখ ২২ জুলাই এইচ এম এরশাদ মহাসচিব রুহুল আমিন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায় ও মেজর (অব.) মোহাম্মদ খালেদ আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যান। ২৫ জুলাই ফিরে আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।