Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওষুধের নামে কি খাচ্ছে মানুষ?

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মাগুরা জেলার সর্বত্র অনুমোদন বিহীনও মেয়াদ উর্ত্তীর্ন ওষুধ অবাধ বেচার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আর এ কারণে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। জেলায় ড্রাগ সুপার থাকলেও প্রয়োজনীয় যানবাহন সুবিধা না থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ মনে করছে। তা ছাড়া ড্রাগ সুপার ঝিনাইদহ অবস্থান করায় মাগুরায় সার্বক্ষনিক তদারকি করা সম্ভব হচ্ছেনা। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী ভারত- পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের এসব ওষুধ অল্প মুল্যে এনে বেশী দামে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে দেশীয় ওষুধের মূল্য অস্বাভবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সকল শ্রেনীর মানুষের আয় বৃদ্ধি না হলেও ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি মানুষকে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছে। সে সাথে নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে নিষিদ্ধ এবং মেয়াদ উর্ত্তীর্ন ওষুধ বাজারে বিক্রি হলেও ওষুধ প্রশাসন জেলার বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ন্ত্রন করতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিপূর্বে মাগুরায় ওষুধ প্রশাসনের কয়েকটি অভিযানে ভারত- পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের নিম্নমানের অনুমোদন বিহীন ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ এবং মাগুরার দায়িত্বে নিয়োজিত ড্রাগ সুপার নাজমুল হাসান জানান, উপযুক্ত লজিস্টিক সাপর্ট না থাকায় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় তদারকিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাছাড়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে যানবাহন ছাড়া সম্ভব নয়।
জানা যায়, দেশে ২২ হাজার আইটেমের ওষুধ উৎপাদন হলেও মাত্র ১১৭ আইটেমের ওষুদের মূল্য নিয়ন্ত্রন করতে পারে সরকার। বাকি হাজার হাজার ওষুধ এর দাম নির্ধারণ করে থাকে স্ব স্ব কোম্পানী তাদের ইচ্ছামত। ১৯৯৪ সালের একটি আইন এর কারনে এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয় বলে কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জানায়। দীর্ঘদিন এভাবে চলে আসলেও সরকার কি কারনে আইনটি সংষোধন করছেননা তা কারো জানা নেই। অথচ এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামত মূল্য বাড়িয়ে ওষুধ কোম্পানীগুলো অর্থ লুটে নিচ্ছে।
মাগুরা জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুন্সী আলী হায়দার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইচ্ছাকৃত কেউ মেয়াদ উর্ত্তীর্ন ওষুধ বিক্রি করেনা তবে অনেক ওষুধ মেয়াদ শেষ হলে সটিং করতে ভুলের কারণে কিছু মেয়াদ উর্ত্তীর্ন ওষুধ থাকতে পারে যা ক্রেতাদেও কাছে বিক্রির সময় সরিয়ে ফেলা হয়। তিনি আরো বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে মাগুরা জেলাতেই আমরা ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। ওষুধের গুনগত মান নিয়ন্ত্রন, জনগনকে প্রতারনার হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে ড্রাগ সুপারদের লজিষ্টিক সাপর্ট দিয়ে কাজের গতি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ওষুধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওষুধ

২৬ জানুয়ারি, ২০২২
১১ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ