Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরলে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ ও বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে দূর্নীতি অবহেলা আর উদাসীনতার অভিযোগ

বিরল, দিনাজপুর উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৫:০৭ পিএম

নিয়োগ ও বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে দূর্নীতি অবহেলা আর উদাসীনতার অভিযোগ। দিনাজপুরের বিরলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে বয়স সীমার উর্দ্ধে প্রার্থীকে চাকুরী দেয়ায় জন্য চুড়ান্ত করায় নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করছে ঐ পদের অপর এক প্রার্থী।

জানাগেছে, বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউপির বৈরাগীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগে একই এলাকার আব্দুর রফের পুত্র আরিফুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়ার জন্য গত ১১ জুলাই/১৮ প্রকাশিত ফলাফলে চুড়ান্ত করা হয়। চাকুরীর নিয়োগ বিধি অনুসারে আরিফুলের বয়স বেশি হওয়ায় অপর প্রার্থী একই গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র ভান্ডারা ইউপি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রকাশিত ফলাফলের ২নং ক্রমিকের আব্দুল আলিম আরিফুলের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ৪৩/১৮ অন্য, তাং ২৮-০৬-২০১৮ ইং। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ হয়। এদিকে মামলার পর সাংবাদিকরা বিষয়টির তদন্ত শুরু করলে বিরল উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে গত ১৪ জুন/১৮ আরিফুলের ভোটার আইডি কার্ড সার্চদিয়ে জানাজায়, আরিফুলে ভোটার আইডি নং ১৯৮৩২৭১১৭১৯০৩৪৩২১, ক্রমিক নং ২৩৩ এবং জন্ম তারিখ ১১ আগষ্ট ১৯৮৩। একই ভাবে একই তারিখে প্রমান মিলে ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধনে। তার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৮৩২৭১১৭১৯১০১১০৬, নিবন্ধন বহি নং ০৫ সার্চ দিয়ে দেখা যায় আরিফুলের জন্ম তারিখ ১১ আগষ্ট ১৯৮৩। মামলার বাদী আব্দুল আলিম জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলীতে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর উল্লেখ করা থাকলেও আরিফুলের বয়স নিয়োগ বিধি অনুসারে ৩০ বছরের অনেক উর্ধে। আমরা ঐ বিদ্যালয়ের জমি দাতা এবং বিদ্যালয়ের সংলগ্ন আমার বাড়ী। আমার বয়স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তের বয়স সীমার মধ্যে। চাকুরী পাওয়ার সমস্ত যোগ্যাতা আমার আছে। তার পরেও আমাকে নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত না করে উর্দ্ধ বয়স সীমার আরিফুলকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। তাছাড়া আবেদন করার পর পরেই ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মফিজ উদ্দীন নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের বরাবরে গত ১৬ এপ্রিল/১৫ ইং তারিখে অভিযোগ দিলেও সেটাতেও গুরুত্ব দেয়নি নিয়োগ ও বাছাই কমিটি। কমিটি অবহেলা ও উদাসীনতা দেখিয়ে অজ্ঞাত কারনে অভিযোগটির ব্যবস্থা না নিয়ে এড়িয়ে গেছেন। অপরদিকে মামলা হবার পর বয়সের সঠিকতা নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন শুরু করেছে আরিফুল ও নিয়োগ কমিটির কতিপয় অসাধু সদস্য। মামলার বাদী আব্দুল আলিম জানান, আমি মামলা করার পর আরিফুল তার জন্ম সনদ, আইডি কার্ড ,নতুন ভাবে টিকা দেয়ার কার্ড এবং বিয়ের কাবিন নামা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যোগাড় ও সংশোধন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে এসব সংশোধন করলেও সেটা হবে সে নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত হবার পর। তার আগের সকল প্রমাণপত্র আমার কাছে আছে এবং আপনাদের কাছেও আমি দিয়েছি। আমি টাকার কাছে পরাজিত হয়েছি। মামলার পর তার লোকজন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি আদালতের প্রতি আস্থাশীল।তাই আদালতের কাছে ন্যায় এবং সঠিক বিচার আশা করছি।

এব্যাপারে বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সভাপতি এ,বি,এম রওশন কবীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত আমাদের কাছে জবাব চেয়েছে। আমরা জবাব দিব। একই কথা জানিয়েছেন, দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্য সচিব এবং উপজেল প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনিরুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ ও বাছাই কমিটি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ