Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেঘনার ডেঞ্জার জোনে চলছে নৌযান

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে ভোলায় মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান। প্রতিদিন এসব রুট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি উত্তাল মেঘনা ছোট ছোট ট্রলার ও লঞ্চে করে পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারে কারণে নৌ-দুর্ঘটনা আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে পারছে না। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮ মাস ভোলার মেঘনার ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। সি-সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের অনিরাপদ নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলা জেলার উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট লঞ্চ ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। দু’একটি রুটে সি-ট্রাক কিংবা সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রপ্রাপ্ত লঞ্চ থাকলেও বেশির ভাগ রুটেই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ আর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে।
বিশেষ করে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষীপুরের মজুচৌধুরীর হাট, দৌলতখান-মির্জাকালু থেকে চর -জহিরুদ্দিন ও লক্ষীপুরের আলেকজ্যান্ডার-রামগতি, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন থেকে মনপুরা এবং মুজিবনগর, কুকরী-মুকরী, লালমোহন- ঢালচর, লালমোহন থেকে পটুয়াখালীর বাউফলসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ও উপ-দ্বীপগুলোতে চরম ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ঠেলাটেলি করে যাতায়াত করছে এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ।
এ ব্যাপারে যাত্রীরা জানান, ভোলার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ হওয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে নদী পথেই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ লঞ্চ ও সি ট্রাক নেই। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার, ইঞ্জিন নৌকা, ফিটনেসবিহীন ছোট ছোট লঞ্চে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোন পাড়ি দিচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদী পথে যেসব নৌযান চলে বিশেষ করে আমাদের এই মৌসুমে ডেঞ্জার জোনে যে নৌ-যানগুলোর ফিটনেস নেই চলার উপযোগী নয় সেগুলো সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ডেঞ্জার জোনে চলাফেরা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালাচ্ছি। এর পরও যারা চলাচল করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেঘনা ডেঞ্জার নৌযান
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ