Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগে চাপা ক্ষোভ বিএনপিতে চলছে সমীকরণ

প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
সাভারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। নবীন আর প্রবীণ সব বয়সের মানুষই রয়েছে এ দৌড়ে। তবে অভিযোগ উঠেছে অতীত কার্যক্রমকে উপেক্ষা করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রভাবশালীরা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ত্যাগী নেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সমীকরণ মিলাতে ব্যস্ত স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। ৬ষ্ঠ ও শেষ ধাপে সাভার উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে জুন মাসের চার তারিখে। এখনও ওই সব ইউনিয়ন গুলোতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। তারা নিজ নিজ কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। দলের টিকেট পেতে শীর্ষ নেতাদের ধারে ধারে ঘুড়ছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী পরিবারটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। এ পরিবার সবসময় একজন ভাল ও যোগ্য মানুষকে মূল্যায়ন করেন। তবে এবার যাদের কাছে চেয়ারম্যান নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয় তারা সব ভুলে গিয়ে অর্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বিতর্কিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিতে নীলনকশা তৈরি করছেন তারা। আর এ নকশার কারণে অনেক ত্যাগী নেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেদের রাজনীতি থেকে অভিমান করে দূরে সড়ে যাচ্ছেন। অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিরাই মনোনয়ন প্রত্যাশা করছে। তেমন একজন প্রার্থী শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন খান। তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের চাল আত্মসাধের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও হিন্দুদের জমি দখল, সরকারী নদী থেকে মাটি বিক্রিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন খানের সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আবার একই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দির মাদবরের বিরুদ্ধে। এদিকে মনোনয় পেতে দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা জেলা (উত্তর) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন মাদবর। তিনি সাভারের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়েই মাঠে নেমেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহাবুদ্দিন মাদবর সাহাবুদ্দিন মাদবর বলেন, দলীয় সমর্থন হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হলে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে ঢেলে সাজানো হবে। আশুলিয়াবাসীকে একটি ডিজিটাল পৌরসভা উহার দিব। এলাকার উন্নয়নে রাস্তাঘাট নিজ উদ্যোগে সংস্কার করবো। তবে বিএনপির ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র। তারা এরই মধ্যে প্রার্থী খোঁজতে শুরু করেছে। মামলা হামলার ভয়ে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রয়েছে। আর যারাও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী তাদের নিয়েও সন্তোষ্ট নয় শীর্ষ নেতারা। কারণ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিএনপির এক শীর্ষ কর্তা বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের সরকার নানাভাবে হয়রানি করে কোণঠাসা করে রেখেছেন। যার ফলে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে যে তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়াতে। কিন্তু তারা যদি অংশ না নেয় তবে যারা আগ্রহী তাদেও মাঝ থেকে বেছে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগে চাপা ক্ষোভ বিএনপিতে চলছে সমীকরণ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ