হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
বিরোধী দলের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠার কথা ইদানীং রেগুলার শোনা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরে ড. বি চৌধুরীর বিকল্প ধারা, আ স ম রবের জেএসডি এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য নিয়ে যখন যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় তখন এক শ্রেণির মিডিয়া এবং সুধী সমাজের মধ্যে মোটামুটি ভালোই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। যুক্তফ্রন্ট গঠনের সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকীও ছিলেন। পরে আর তাকে দেখা যায়নি। শোনা যায় যে তিনি ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম নিয়ে একটি ঐক্যজোট গড়ার চেষ্টা করছেন। তখন ড. কামাল হোসেনও বিরোধী দলের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বেশ গরম গরম কথা বলেন। ড. কামালের ক্ষেত্রে সব সময় যা হয় এখানেও তাই হয়েছে। ঐসব গরম গরম কথা বলার পরেই তিনি বিদেশে চলে যান। এর মধ্যে ফিরেও এসেছেন। কিন্তু ফিরে আসার পর থেকেই তিনি চুপচাপ। তিনি এবং কাদের সিদ্দিকীর পক্ষ থেকে এরপর আর কিছু শোনা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার ১৯ জুলাই বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নানের বাসায় যুক্তফ্রন্টের একটি মিটিং হয়। ঐ মিটিংয়ে যথারীতি ড. চৌধুরী, জনাব রব, জনাব মান্না, মেজর মান্নান এবং ড. চৌধুরীর পুত্র মাহি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ঐ বৈঠক শেষ হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ২০ জুলাই শুক্রবার দুটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। একটি করেন কাদের সিদ্দিকী। অপরটি করেন মান্না। মান্নার পাশে মাহি চৌধুরী উপবিষ্ট ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী একটি নতুন পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন যে, বি চৌধুরী, কামাল হোসেন, রব, তিনি নিজে এবং মান্না মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা হচ্ছে। এটি যদি হয় তাহলে ড. চৌধুরী যথারীতি এটির চেয়ারম্যান হবেন। আর তারা যদি নির্বাচনে জয়লাভ করেন তাহলে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন ড. কামাল হোসেন। নির্বাচনের আগে দেশের অনেকগুলি বিরোধী দলের মধ্যে এই প্রথম একটি দলের নেতার মুখ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী একজনের নাম শোনা গেল।
জনাব মান্নার সংবাদ সম্মেলনে এবারই সর্ব প্রথম একটি ভারসাম্যমূলক সরকার গঠনের কথা শোনা গেল। ঐ সংবাদ সম্মেলনে মাহি চৌধুরী জানান যে, বিএনপি জোটের সাথে আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে যুক্তফ্রন্ট ১৫০টি আসন চেয়েছে বলে এক শ্রেণির সংবাদ পত্রে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেই খবরটি সঠিক নয়। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কিছুদিন আগে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তফ্রন্টকে ২০ দলীয় জোটে শামিল করার প্রচেষ্টা হিসেবে মির্জা ফখরুল বি চৌধুরীর বাসায় যান। সেখানে তারা যে আলোচনা করেন সেই আলোচনায় মাহি চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। দৈনিক কালের কণ্ঠ, যুগান্তর প্রভৃতি পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, মাহি চৌধুরী নাকি ঐ সভায় বলেন যে, যুক্তফ্রন্ট বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারে। তবে শর্ত হলো, যুক্তফ্রন্টকে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০টি আসন দিতে হবে। মির্জা ফখরুল এই প্রস্তাবটি শোনেন এবং বলেন যে, তাদেরকে প্রস্তাবটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এরপর এই প্রস্তাব নিয়ে আর কোনো কথা শোনা যায়নি। মান্নার সাথে মাহি চৌধুরী যে প্রেস কনফারেন্স করেন সেখানে তিনি বলেন যে, ১৫০টি আসন দাবি করার খবরটি সত্য নয়। তারা একটি ভারসাম্যমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। ভারসাম্যমূলক সরকারের কথা মান্নাও বলেছেন।
দুই
গত রবিবার ২২ জুলাই ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজে’ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের একাংশের আসন বণ্টনের ওপর একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসম্পর্কে ইদানীং একাধিক পত্রিকায় অনেক খবরই প্রকাশিত হচ্ছে। খবর প্রকাশের ৫/৭ দিন পর দেখা যাচ্ছে যে, ঐসব খবরের কোনো ভিত্তি নাই। দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপি এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা করছে না। এই মুহূর্তে তাদের কাছে প্রধান ইস্যু হলো, বিএনপির অপ্রতিদ্ব›দ্বী নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি। আর একটি ইস্যু হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এর অর্থ হলো, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। অবশ্য সরকারের পদত্যাগ দাবিটি কৌশলগত কারণে হোক আর যেকোনো কারণেই হোক, সামনে আনা হচ্ছে না। বিএনপির বক্তব্য হচ্ছে, তারা বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে কিনা, সেটিই এখনো ঠিক হয়নি। কাজেই আসন বণ্টন নিয়ে এই মুহূর্তে তাদের মাথায় কোনো চিন্তাভাবনা নাই। প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত নিউ এজের ঐ খবরের শিরোনাম, ‘SEAT SHARING FOR 11TH JS POLLS/ No discussion worries BNP’s allies’ বাংলা অনুবাদ, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন/ কোনো আলোচনা না হওয়ায় শরিকদের মধ্যে উদ্বেগ।’ খবরের সংক্ষিপ্ত সার নিম্নরূপ:
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টনের ব্যাপারে বিএনপি এখনো উদাসীন। তারা আরও একটি ব্যাপারেও উদ্বিগ্ন যে তারা এখন পুরাতনদের ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়ে নতুন মিত্রের সন্ধানে ব্যস্ত এবং নতুন মিত্রদেরকে তারা এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ঐ রিপোর্টে কল্যাণ পার্টির নেতা মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নিউ এজকে বলেছেন যে, আসন বণ্টনের ব্যাপারটি অমিমাংসিত রেখে জোটভুক্ত শরিকদেকে দুশচিন্তায় রাখা হয়েছে। ঐ রিপোর্ট মোতাবেক বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন যে, আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তার দল এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এখন তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের সিটি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। জোটের শরিকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, তারা যখন আসন বণ্টনের কথা বলেন তখন বলা হয় যে বিএনপি এখনো নির্বাচনে যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু যুক্তফ্রন্টের তিন শরিক এবং কাদের সিদ্দিকীর দলকে বিএনপি আশ্বাস দিয়েছে যে, তাদের সাথে আগামী নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি করবে। উদাহরণ হিসেবে তারা টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার আহবায়ক এনামুল করিমের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করেন। এনামুল করিম বাসাইল পৌরসভার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্য দিকে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক লীগের প্রার্থীও একই পদে দাঁড়িয়েছিলেন। কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থীর অনুকূলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য বাসাইল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল কবিরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এনামুল কবির কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থীর অনুকূলে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত না হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থী হেরে গেছেন। এনামুল কবির অভিযোগ করেন যে, শুধু মাত্র এই উপজেলা পৌর করপোরেশনটিই নয়, বাসাইলের সংসদ সদস্যের আসনটিও কাদের সিদ্দিকীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট কামরুজ্জামান বলেন যে, আসন বণ্টনের বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের বলেন যে, আসন বণ্টনের ওপর অবিলম্বে আলোচনা হওয়া উচিত। একই অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি বা জাগপা মনে করে যে, আসন ভাগাভাগির ইস্যুটি অবিলম্বে আলোচিত হওয়ার উচিত। জাগপার মহাসচিব লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বলেন যে, যেসব দলের নিবন্ধন রয়েছে তাদের ব্যাপারে আসন বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা হওয়া উচিত। ২০ দলীয় জোটের মধ্যে যে সব দলের নিবন্ধন রয়েছে সেসব দলের নাম হলো কল্যাণ পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাগপা প্রভৃতি।
তিন
রবিবার ২২ জুলাই দৈনিক ‘প্রথম আলোতে’ যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীরর একটি বিশাল সাক্ষাতকার ছাপা হয়েছে। ঐ সাক্ষাতকারে ড. চৌধুরী বৃহত্তর ঐক্যফ্রন্ট, আসন বণ্টন, ভারসাম্যমূলক সরকার প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সাক্ষাতকারের এক পর্যায়ে তিনি বলেন যে, যুক্তফ্রন্টকে ১৫০টি আসন না দিলেও বিএনপি যদি যুক্তফ্রন্টকে সাথে পেতে চায় তাহলে তাদেরকে ১৮০টির বেশি আসনে নির্বাচন করা চলবে না। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে যুক্তফ্রন্টকে অন্তত ১২০টি আসন দিতে হবে। জামায়াতের প্রশ্নে মাহি চৌধুরী বলেছেন যে, জামায়াতের সাথে কোনো রকম জোট করার প্রশ্নই ওঠে না।
এই হলো বৃহত্তর ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সর্বশেষ হাল। এ গুলো ছাড়াও আদর্শ ও কর্মসূচির ক্ষেত্রেও অনেকগুলো প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমেই আসে জামায়াতের প্রশ্ন। ২০ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াত দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। এখন বিএনপি কি জামায়াতে ইসলামকে তুচ্ছ জ্ঞান করে যুক্তফ্রন্টকেই অধিকতর গুরুত্ব দেবে? এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কারণ, এখানে রয়েছে অনেকগুলো হিসাব নিকাশ। সংগঠন এবং কর্মীর বিবেচনায় যুক্তফ্রন্ট সমষ্টিকভাবেও কতখানি শক্তিশালী সেটিও দেখার বিষয়। আরও রয়েছে সাংগঠনিক ভিত্তি। প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় শাখা এবং অঙ্গ সংগঠনের শাখার বিবেচনায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির এবং যুক্তফ্রন্টের একটি তুলনামূলক বিবেচনাও এসে যায়। মাহি চৌধুরী, কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ নেতা ও দল স্পষ্ট না বললেও তারা চায় যে বিএনপি জামায়াতের সংশ্রব ত্যাগ করুক। সেটি করলে কি বিএনপি লাভবান হবে? নাকি হাতের মধ্যে যা আছে তাও হারাবে?
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন যে, বি চৌধুরী, রব, মান্না, কামাল হোসেন এবং কাদের সিদ্দিকীর রয়েছে একটি পরিচিতি এবং ফেস ভ্যালু। কিন্তু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নির্বাচনের আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রশ্নে যদি আন্দোলনে নামতে হয় তাহলে সেখানে এই ৫ নেতা কতখানি অবদান রাখতে পারবেন? তাদের কয়জন কর্মী রয়েছে?
এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। জানি না বিএনপিও এড়িয়ে যাচ্ছে কিনা? বিএনপি বেগম জিয়ার মুক্তিকে এক নম্বর ইস্যু বানিয়েছে। এটিই স্বাভাবিক। পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিব যখন জেলে ছিলেন তখন আওয়ামী লীগও মুজিবের মুক্তিকেই এক নম্বর এজেন্ডা বানিয়েছিল। তাদের শ্লোগান ছিল, ‘জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো’। বিএনপি এবং ২০ দলও সেই একই ধরনের শ্লোগান দিচ্ছে, ‘জেলের তালা ভাঙবো, খালেদা জিয়াকে আনবো’। বিএনপি এবং তার মিত্র ১৯ দল তাদের কর্মসূচীতে বেগম জিয়ার মুক্তিকে এক নম্বর এজেন্ডা করেছে এবং সেজন্য তারা কাজও করছে। কিন্তু ড. কামাল হোসেন এবং কাদের সিদ্দিকী কি বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলবেন? বরং বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায় যে, এই দুটি দল বেগম জিয়ার মুক্তিকে প্রায়োরিটি দিতে রাজি নয়।
তাহলে এই অবস্থায় করণীয় কী? বি চৌধুরী কামাল হোসেনদেরকে সাথে পাওয়ার জন্য বিএনপি কি জামায়াতে ইসলামীকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে? নাকি জামায়াতে ইসলামীকে সাথে রাখার জন্য বি চৌধুরী-কামাল হোসেনদের প্রস্তাবিত জোটের দাবিগুলির প্রতি শীতল মনোভাব প্রদর্শন করবে? আসলে তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হলে বি চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট এবং জামায়াতে ইসলামীসহ সকলকে সাথে নিয়েই রাজপথে নামতে হবে। এজন্য যদি এক মঞ্চে সম্ভব না হয় তাহলে আলাদা আলাদা মঞ্চে যার যেটি প্রায়োরিটি সেই সব দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে পারে। সিপিবির নেতৃত্বে ৮টি বাম দলের একটি জোট হয়েছে। তারা নিরপেক্ষ সরকার দাবি করেছে এবং নির্বাচনের আগে সংসদ বাতিল দাবি করেছে। ঐ সব দাবি নিয়েই তারা আলাদা মঞ্চে মাঠে নামুক। বি চৌধুরী, রব, মান্না প্রমুখ ঐ সব দাবি নিয়ে আলাদাভাবে মাঠে নামুক। কামাল হোসেনরা ঐ সব দাবি নিয়ে আলাদা মঞ্চে মাঠে নামুক। তাহলে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।