পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃটিশ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এছাড়া বৃটেনেও বাংলাদেশে তৈরী অনেক পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উভয় দেশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি করা সম্ভব। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী এমপি গতকাল রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের বনানীস্থ বাসভবনে তার সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøইক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রুশনারা বলেন, বাংলাদেশ বৃটেনের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাণিজ্যসহ সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বৃটেন। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নেরও অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বৃটেন বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, এনার্জি ও বিভিন্ন উন্নয়নখাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে পর্যটক বিনিময়ের প্রচুর সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে এ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, তৈরী পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার ও শিল্পমালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আর কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ সেক্টরে আরো উন্নতি করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার বৃটেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেয়া এভ্রিথিংস বাট আর্মস অর্থাৎ ইবিএ-এর আওতায় বাংলাদেশ বৃটেনের কাছ থেকে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে। বৃটেনে দিন দিন বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৃটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পর (ব্রেক্সিটের পর) বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য আরো বাড়বে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে বৃটেনের সাথে ঘনিষ্টভাবে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। বৃটেন বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন আর জিএসপি সুবিধা থাকবে না, এজন্য বাংলাদেশ বৃটেনের কাছ থেকে জিএসপিপ্লাস বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাশা করছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার আশা করে এবং বিশ্বাস করে বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা আসলেও গতকাল রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশনারা আলীর সফর কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ ও বৃটেনের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং বেক্স্রিট পরবর্তী অবস্থা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যেই তার ঢাকা আসা বলে ক‚টনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।