পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকায় পরিবহন সংকটের কারণে গতকাল চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই যাত্রা করেন নিজ গন্তব্যে। অফিস থেকে বাসায় ফিরতে এবং বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ঘর থেকে বের হন যারা তাদের প্রায় সকলকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যানবাহন না পাওয়ায় তাদের অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এভাবে মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোনো অর্থ হয় না।
মূলত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা, সফলভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রিসহ উন্নয়ন ও অর্জনে অসাধারণ অবদান রাখায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগে থেকেই ব্যাপক জনসমাগম করা হয়। আওয়ামী লীগ ও দলটির অংগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো জনসমাগম লোক নেয়ার জন্য রাজধানী এবং রাজধানী থেকে পাশের জেলাগুলোতে চলাচলরত বিভিন্ন রুটের অধিকাংশ বাস রিজার্ভ ভাড়া নেন। ফলে বাসা থেকে বের হয়ে যানবাহনের স্বল্পতায় বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ।
যদিও গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, কর্মদিবসে রাস্তা বন্ধ করে কোনো শোভাযাত্রা হবে না এবং অনুমতিও দেওয়া হবে না। এমনকি আওয়ামী লীগকেও অনুমতি দেওয়া হবে না। বাস্তবে গতকাল দেখা গেল উল্টো চিত্র। শনিবার সরকারি ছুরির দিন হলেও বেসরকারি সব অফিস খোলা ছিল। তাই দিনের কর্মব্যস্ত সময় পার করে ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয় পরিবহনের জন্য। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন অনেকে। পরিবহনগুলো দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়ায় কারণে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করছেন সাধারণরা। আবু জাফর নামে এক ব্যক্তি কাজ করেন একটি বেসরকারি এজেন্সিতে। মতিঝিলের এক অফিসকর্মী রেজাউল বলেন, সব গাড়ি আজ প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। যে কারণে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। বড় কষ্টে পড়েনি। আবীর নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, তিনি দীর্ঘ দুই ঘণ্টা মতিঝিলে অপেক্ষা করার পর গুলশান যাওয়ার বাস পেয়েছেন। মোহাম্মদ রিপন নামে একজন বলেন, আমি দুপুর থেকে এয়ারপোর্টের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাইনি। যে গাড়িগুলো চলছে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে। তাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠানো হচ্ছে না।
গুলিস্তান, মতিঝিল পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায়ও গাড়ি কম চলায় শত শত সাধারণ যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে পায়ে হেঁটেই নিজ গন্তব্যে চলে যেতে বাধ্য হন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।