পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির শেয়ার দরে বড় উল্মম্ফন হয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ৩৫ শতাংশ হতে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সর্বোচ্চ রেকর্ড সীমাও অতিক্রম করেছে। কোম্পানিগুলো হলো-কেডিএস গার্মেন্টস, অ্যামবি ফার্মা, লিগ্যাছি ফুটওয়ার ও এ্যাপেক্স ট্যানারী লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেডিএস গার্মেন্টস: বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ চার হাজার টাকা। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১২৫ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ১০ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার ১১৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৬২৪টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৮৭৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১১১ টাকা থেকে ১১৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর। এক বছরে শেয়ারদর ৫৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৭ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৪ টাকা ৮০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১২ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
অ্যামবি ফার্মা: বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন তিন কোটি ৫২ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাবছরের ৩০ শতাংশ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা দুই পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
লিগ্যাসি ফুটওয়্যার: বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৭ কোটি ৫৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ৯৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের ১০ শতাংশ বোনাস শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এপেক্স ট্যানারি: বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৮ কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার শেয়ার। কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের ৪০ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৫ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ৫৬ পয়সা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।