পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়লা বিক্রি করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সঙ্কট সৃষ্টি করায় এমডিসহ ৪ কর্মকর্তার ক্লোজড ও বদলি করা হয়েছে।
খনির জিএম (অপারেশন) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি হাবিব উদ্দীন আহমেদকে ক্লোজড, জিএম (মাইনিং) এটিএম নুরুজ্জামান ও ডিজিএম (স্টোর) খালিদুল ইসলামকে ওএসডি এবং জিএম (এডমিন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে তাৎক্ষনিক বদলির আদেশ প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় এই ৪ কর্মকর্তাকে সচিবালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হাকিম জানান, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলমান ছিল। প্রথমে ১ ও ২টি ইউনিটে ৩শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম নিয়ে চালু হওয়ায় পরবর্তীতে ৩নং ইউনিটটি ২৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কার্যক্রম শুরু হয়। ৩টি ইউনিটে ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন প্রতিদিন কয়লার চাহিদা খনি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়। সে সময় খনির এমডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয় কয়লার কোনও সঙ্কট নেই। এরপর গত ইটভাটা মৌসুমে জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ কয়লা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১নং ইউনিটটি বন্ধ হলেও কয়লা সঙ্কটে ২নং ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্রটি জানায়, গতকাল শনিবার ৩নং ইউনিট থেকে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। যে পরিমাণ কয়লা রয়েছে তা দিয়ে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। কয়লা সঙ্কটের কারণে বৃহত্তর এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রের জিএম জানান, কয়লা খনির দুটি নতুন ফেইজ এর উন্নয়ন কাজ চলছে। খুব শিগগিরই এই ২টি ফেইজ থেকে উন্নয়নের মাধ্যমে কিছু কয়লা উত্তোলন হবে। আগামী আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন কাজ শুরু হয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাহিদা অনুযায়ী কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।