পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকলেও এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা না করায় বিদ্যুৎ বিতরণে সংকট তৈরি হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর খিলক্ষেতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হবিগঞ্জে একটি সাবস্টেশন নির্মাণ এবং ভোলায় ওভারলোডেড ট্রান্সফরমারের প্রসঙ্গ তুলে তা সংস্কারের কথা বলা হলে প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন এসে এসব কেন বলা হচ্ছে? এসব পরিকল্পনা তো আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।
আরইবির পক্ষ থেকে জিএম সম্মেলনে বলা হয় হবিগঞ্জে ওভারলোডেড সাবস্টেশনের কারণে নতুন গ্রাহক তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে আর পুরাতন গ্রাহকরাও মানসম্মত বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। অন্যদিকে, ভোলার ট্রান্সফরমার ওভারলোড সমস্যা দূর না করলে ভোলা অন্ধকারে তলিয়ে যেতে পারে। ভোলা-২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতে সরকারের অনেক সাফল্য কিন্তু কোনও কারণে বিদ্যুৎ না থাকলে সব সাফল্য ম্লান হয়ে যায়। এজন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। আরইবির শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের বছর মানুষকে আরও বেশি করে সেবা দিতে হবে।
জিএম সম্মেলনে আরইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত দেশের ৫৮ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ডিম্বেরের মধ্যে আরও ৭০ টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হিসেবে ঘোষণা করতে চায় আরইবি। এর বাইরে আরও ১৫০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। অন্যদিকে, দেশে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। এই ৪০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে। দুই দিন ব্যাপী এই জিএম সম্মেলনে এবার হয়রানি মুক্তির দিকটিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে আরইবি। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যে বলা হচ্ছে হয়রানিমুক্ত বিদ্যুতের অঙ্গীকার।
সম্মেলনের শুরুতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন এক উপস্থাপনায় জানান, ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ সাল নাগাদ ৩০ বছরে আরইবির গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৭৪ লাখ। সরকারের ৯ বছরে আরও এক কোটি ৫৭ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন আরইবির গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৩১ লাখ। বর্তমানে আরইবির বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ৩ লাখ ৯৭ হাজার কিলোমিটার, বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী গ্রাহক ৮৬ ভাগ, ৮৩৭টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের মোট ক্ষমতা ৯ হাজার ৭৭৫ এমভিএ, সিস্টেম লস ১১ ভাগ, বকেয়া ১ দশমিক ১০ মাস। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুত বোর্ড (বাপবিবোর্ড) ৫৫ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ ও ১৮০০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন উপকেন্দ্র স্থাপন করে ৩৯ লাখ গ্রাহককে নতুন সংযোগ প্রদান করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন ছাড়াও পিজিসিবি, ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক আহমেদ আরইবির সদস্য প্রশাসন মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারি উপস্থিত ছিলেন। জিএম সম্মেলনে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।