রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কয়রার কপোতাক্ষ নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙনে ইতোমধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ২নং কয়রা ও গোবরা সুইজ গেট এলাকা। হুমকির মুখে হরিণখোলা, ঘাটাখালী বেড়িবাঁধসহ অর্ধ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ। মাটি দিয়ে বাঁধে ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নদীর স্রোতে যে কোন মুহূর্তে কপোতাক্ষের বুকে বিলীন হবে বেড়িবাঁধ । ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা নোনা পানিতে ডুবে যাবে এবং ধ্বংস হবে কোটি টাকার সম্পদ।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল ২ ১৩/১৪-২ পোল্ডারের ২নং কয়রা খালের গোড়া ও গোবরা সুইজ গেটের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে প্রায় এক কিঃমিঃ জুড়ে বেড়িবাঁধ ফাটলসহ মারাত্মক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নেমে পড়েছেন মাটির কাজে। এ সময় ভাঙন কবলিত স্থানে পাউবোর কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেখা যায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী-২ অপুর্ব কুমার ইদানিং বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে ১০% নগদ নারায়ন নিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় তারাই বিশ্বস্থ লোক দিয়ে মাটির কাজ করাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বরাদ্দের ১০ থেকে ১২% মাটির কাজ করার কারণে আজ কয়রাবাসী হুমকির মুখে।
অপর দিকে ঘাটাখালী, হরিণখোলা, মদিনাবাদ, গোবরা- ২নং কয়রা স্লইজ গেট, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, দশালিয়া, উঃ বেদকাশী, গাজী পাড়া, শাকবাড়িয়া, গাববুনিয়া, চরামুখা, গাতিরঘেরী, মাটিয়া ভাঙ্গা, আংটিহারা, খাশিটানা, জোড়শিং, বীণাপানি, হরিহরপুর, কাটকাটা, ৪ ও ৫নং কয়রা এলাকার বেড়িবাধের অবস্থা আশংঙ্কাজনক- দেখার কেউ নেই। স্থানীয় একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান এ সংবাদদাতাকে জানান, ১৩/১৪-২ এবং ১৪/১ পোল্ডারের দায়িত্বে থাকা পাউবোর কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করে সরকারি সম্পত্তি এফসিডিআর করার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন বড় অংকের টাকা। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্থানীয় সমাজসেবক এস,এম, বিল্লাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন- এফসিডিআই প্রকল্প করার কথা বলে অত্র এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসও খয়রুল আলম গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। বর্তমান এ দুটি পোল্ডারের নাজুক অবস্থা থাকার পরও দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্বে নিয়োজিত এসডিই ও এসওদের পাত্তা নেই। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঢালী আক্তারুজ্জামান ও ঢালী মিলন বলেন, যেভাবে জোয়ার শুরু হয়েছে এবং বাতাসের গতি বেড়েছে তাতে কপোতাক্ষ নদের ঢেউয়ের ঝাপটায় যে কোন মুহুর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। ঢালী নজরুল ইসলাম বলেন- এ মুহুর্তে প্রয়োজন জরুরী ভিত্তিতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং টেকসই বাঁধ দেয়া না হলে বর্ষা মৌসুমের আগেই সমগ্র কয়রা এলাকা নোনা পানিতে ডুবে যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন- যে করে হোক কপোতাক্ষের করাল স্রোত ও ঢেউ ঠেকাতে আমার দপ্তরের সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে। পাশাপাশি তাকে স্থানীয় স্বেচ্ছাশ্রমের লোকজনের সাথে কাজ করতে দেখা গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন, দুটি পোল্ডারের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলির প্রতিবেদন আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।