বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল সকাল থেকে হুমায়ূনের পরিবার, ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনরা ভিড় জমান গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করে জনপ্রিয় এই লেখককে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচি। কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের খাবার বিতরণসহ দিনব্যাপী চলে নানা আয়োজন।
সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা। সঙ্গে আছেন হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমু পরিবার ও হিমু পরিবহনের সদস্যরাও। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরহুমের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তার দুই পুত্র সন্তান নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় হুমায়ূনভক্ত, হিমু ও রূপার চরিত্র সেজে প্রিয় লেখকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কয়েশ বইপ্রেমী।
‘হিমু পরিবহনে’ চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবি পরা ‘হিমুরা’ এবং বিভিন্ন সাজে রূপাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় নুহাশপল্লী। তাঁরাও এসেছেন প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘আমরা বিশেষ দিনে কেবল নয়, সারা বছর আমরা হুমায়ূনকে স্মরণ করি। হুমায়ূন আহমেদের নামে বাংলাবাজারে সরণি এবং বইমেলায় হুমায়ূন চত্বরও স্থাপনের প্রত্যাশা করছি।’ এ ছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদ ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনে দেশের বুদ্ধিজীবীদের সংঘবদ্ধভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহŸান জানান। নুহাশপল্লীর নিজস্ব অর্থায়নে জাদুঘর স্থাপনে পারিবারিক সিদ্ধান্তের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
হুমায়ূন স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অন্যান্যরা বলেন, হুমায়ুন ছিলেন আছেন এবং থাকবেন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে। তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এ দেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীর হৃদয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।