Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদির বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ৭:২৬ পিএম | আপডেট : ৮:২১ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৮



ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দেশটির লোকসভায় বুধবার অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার জন্য গৃহীত হয়েছে। তেলেগু দেশম পার্টির একজন সংসদ সদস্য প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। পরে অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যরাও অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ দেন স্পিকারকে। লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের আনীত ওই প্রস্তাব গ্রহণ করে আগামী শুক্রবার ভোটাভুটির দিন নির্ধারণ করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম লোকসভায় কোনও অনাস্থা প্রস্তাব ভোটাভুটির জন্য গৃহীত হলো। তবে এ প্রস্তাবের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

তেলেগু দেশম পার্টির কেসিনেনি শ্রীনিবাস অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন করে জানান, তার প্রস্তাবে কংগ্রেস, তৃনমূল কংগ্রেস, ন্যাশিওনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার ( মার্ক্সিসিস্ট) সংসদ সদস্যদের সমর্থন রয়েছে। বিরোধী সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে নোটিশ পেয়ে স্পিকার সুমিত্রা মহাজন অনাস্থা প্রস্তাবটি গ্রহন করেন। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে ভোটাভুটির দিন স্থির করা হবে। কিন্তু বিরতির পরে সংসদের কার্যক্রম আবার শুরু হলে তিনি জানিয়ে দেন, ২০ জুলাই প্রস্তাবের ওপর ভোট গ্রহণ করা হবে।

এতে তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। তারা বলেছিলেন, যেহেতু ২১ জুলাই তাদেরকে কোলকাতায় ‘শহীদ দিবসের’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে সেহেতু ২০ তারিখে যেন ভোটাভুটির দিন নির্ধারণ করা না হয়। ১৯৯৩ সালের ওই দিনে কোলকাতায় পুলিশের গুলিতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে থাকা ১৩ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন।

কিন্তু সংসদীয় কার্যক্রম বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেছেন, উপদেষ্টা কমিটিতে আলোচনা করেই দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, তাদের উচিত যেকোনও সময় এ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকা। বিরতির আগেই অনন্ত কুমার জানিয়ে দিয়েছিলেন, সরকারও অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি দাঁড়াতে প্রস্তুত, ‘সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমি এটা সবার কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাই, নরেন্দ্র মোদির সরকারের ওপর মানুষের পূর্ণ আস্থা আছে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, ৫৪৩ সদস্যের ভারতীয় লোকসভায় মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। লোকসভায় বিজেপির একারই আসন ২৭৪টি। সুতরাং ভোটাভুটিতে অনাস্থা প্রস্তাবের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ পাবে। নারীর অধিকার, গণপিটুনিতে হত্যা, কৃষকের দুরবস্থা এবং জম্মু ও কাশ্মির নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে চাপ তৈরির চেষ্টা করবেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা।

যে তেলেগু দেশম পার্টির সংসদ সদস্য মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, সেই তেলেগু দেশম পার্টি মোদি সরকারেই ছিল। বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের’ (এনডিএ) এই শরিক দলের সঙ্গে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে ওঠে বাজেটে অন্ধ্র প্রদেশের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত বিশেষ বরাদ্দের ঘোষণা না থাকায়। এর প্রতিবাদে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশভিত্তিক আঞ্চলিক দলটি বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ও জোট থেকে বেরিয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোদির


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ