বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিলুপ্তির পথে চাঁদপুর শহরের পুকুর, দীঘি, ডোবা-নালা। এক সময় শহর ও শহরতলীর বিভিন্নস্থানে চোখে পড়তো ছোট, বড় অসংখ্য দীঘি, পুকুর ও ডোবা-নালা। আর ওইসব পুকুরে মানুষ দলবেধে প্রতিদিন নিয়মিত আনন্দের সাথে গোসল করতো। কিন্তু ধীরে ধীরে শহরের পুকুরের সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।
শহরে মানুষের বসতি বেড়ে যাওয়ায় নিকটতম স্থানে অনেকে ডোবা-নালা ভরাট করে দালানঘর নির্মাণ করছে। ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে পুকুর ও ডোবা নালা। অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ বাসা-বাড়ির ময়লা আর্বজনার পানি পাশ্ববর্তী পুকুরে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে। এ কারণে ঐসব পুকুরের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।আগের তুলনায় এখন আর তেমন ছোট বড় দীঘি বা পুকুর শহরে চোখে পড়েনা। চাঁদপুর শহরে হাতেগোনা কয়েকটি পুকুর থাকলেও সেগুলো গোসল করার মতো এখন উপযোগী নয়। যে ক’টি পুকুর রয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগই আর্বজনা ও ময়লা পানিতে ভরপুর।
গত দুই দশকে চাঁদপুর শহরে ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুরগুলো হচ্ছে, পালপাড়া বর্তমান আল-আমিন স্কুলের স্থানটি, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট লেক, বাসস্ট্যান্ট গৌর এ গরিবা জামে মসজিদ পুকুর, আদালত পাড়া পুকুর ও চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম দীঘিসহ শহরের বেশ কিছু পুকুর ও ডোবা। ওই সকল পুকুর ও দীঘিগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঐতিহ্য বিলিন হয়েছে। এখনো শহরে টিকে থাকা পুকুরগুলোর মধ্যে জোড়পুকুর নামক পুকুরের দুটির মধ্যে একটি। এর বাইরে রয়েছে, শহরের শেরে-ই বাংলা ছাত্রাবাস পুকুর, সদর উপজেলা পরিষদ পুকুর, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল পুকুর, রামকৃষ্ণ আশ্রম পুকুর, রেলওয়ে ক্লাব রোড পুকুর, কাঁচা কলোনী ও ফায়ার হাউস বালুর মাঠ সংলগ্ন পুকুর।
তবে এসব পুকুরগুলো ঐতিহ্য ধরে রাখলেও বিশুদ্ধ পানির অবস্থান ঠিকই হারিয়েছে। কারণ, শহরে ঘনবসতির কারণে বাসা-বাড়ির ময়লা আর্বজনা পুকুরে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে। নিকটতম স্থানে অনেকে ডোবা-নালা ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। আর এভাবেই দিনে দিনে বিলুপ্ত হওয়ার পথে শহরের পুকুর ও ডোবা নালা। শহরের মিশন রোডের বাসিন্দা হারুন হাওলাদার বলেন, যে শহরে পানি নাই, বৃক্ষ নাই, সেই শহরের প্রাণ নাই। তাই আমরা ক্রমাম্বয়ে প্রাণহীন জড় পর্দাথের মতো হয়ে যাচ্ছি। আধুনিকতা ও উচ্চ বিলাসের নামে অবাধে শহরের পুকুর-দীঘি, ডোবা-নালা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা দেখেও না দেখার ভান করছে।
সচেতন মহলের দাবি, শহরবাসী সচেতন হলে পুকুরের ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব হবে। পুকুরে ময়লা আর্বজনা না ফেলে নির্দিষ্টস্থানে ফেললে একদিকে পরিবেশ রক্ষা পাবে, অন্যদিকে অতি প্রয়োজনে পুকুরের পানি ব্যবহার করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।