Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে দুই শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা ছাত্রলীগের

চবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ৮:৩৬ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় কে অস্থিতিশীল করার 'অভিযোগ' এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে চবি ছাত্রলীগের একাংশ। শিক্ষক দুজন হলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী।

মঙ্গলবার দুপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণার পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করার দাবিতে চবি উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছ ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা।
স্মারকলিপির গ্রহণের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা একটা স্মারকলিপি দিতে এসেছিল। সেটি গ্রহণ করতে বলেছি তবে ব্যস্ততা থাকায় তা পড়ার সুযোগ হয় নি। আগামীকাল বিষয়টি দেখব।

চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর টিপু বলেন , প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি ও ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে উস্কে দেয়ায় আজ থেকে ক্যাম্পাসে দুই শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।'

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে কটূক্তি করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশ ব্যাপী জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র যৌথ নীল নকশার অংশ হিসেবে শিক্ষক নামধারী জামায়াত-শিবিরের তাবেদার মাইদুল ইসলাম ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদেরও উস্কিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতীশীল করা পাঁয়তারা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার এমন কর্মকান্ড সম্পর্কে বিভাগীয় সভাপতির কাছে নালিশও দেয়া হয়। এছাড়া বিশেষ সার্কুলারের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগেরব অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে ।

এদিকে একই স্মারকলিপিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সুকৌশলে সহিংসতার মাধ্যমে ‘লন্ডভন্ড’ করে দেয়ার উস্কানি প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে । তাকে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের মূল এজেন্ট উল্লেখ করে বলা হয়, তিনি ছাত্রদের তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন। পাশাপাশি বিভাগীয় সভাপতি থাকাকালে তার নানা অনিয়ম ও অনৈতিকতার বিষয়ও স্মারকলিপিতে জানানো হয়।

খন্দকার আলী আর রাজী বলেন, যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সব ভিত্তিহীন। শিক্ষকদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আমি আপোষহীন। এসব হুমকি দিয়ে আমাকে থামানো যাবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার

২৭ আগস্ট, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ