Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদপুরে গৃহবধু হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, চাচা-শ্বশুরের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ৪:৫০ পিএম

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাদীপুরা গ্রামে যৌতুকের দাবীতে শ্বাসরোধ করে গৃহবধু শাহিনুর বেগমকে (২০) হত্যার অপরাধে স্বামী এরশাদ উল্যাহকে মৃত্যুদণ্ড ও চাচা শ্বশুর আবু তাহের মুন্সীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন। হত্যার শিকার শাহিনুর বেগম একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামের শহীদুল্লাহ মিয়াজীর কন্যা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এরশাদ উল্যাহ সাদীপুরা গ্রামের মুন্সী বাড়ীর রুহুল আমিন এর ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আবু তাহের মুন্সী একই বাড়ীর আব্দুল খালেক মুন্সীর ছেলে। এরশাদ উল্যাহ সম্পর্কে আবু তাহেরের ভাতিজা।

মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়, ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এরশাদ উল্যাহর সাথে শাহিনুর বেগমের বিয়ে হয়। ওই সময় ছেলেকে কনের পিতা আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দেন। কিন্তু আরো যৌতুকের দাবীতে এরশাদ উল্যাহ নিজ বাড়ীতে পরিবারের লোকজনসহ শাহীনুরকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এরশাদ উল্যাহ ও শাহিনুর বেগম এর মধ্যে যৌতুক নিয়ে জগড়া বিবাদ হয়। এ সময় এরশাদ উল্যাহ তার চাচা আবু তাহের মুন্সীর সহযোগিতায় শাহিনুরকে মারধর করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

শাহিনুরের পিতা শহীদুল্লাহ মিয়াজী জানান, ঘটনার পর চাচা আবু তাহের তাকে মেয়ে অসুস্থ বলে সংবাদ দেন। কিন্তু তারা এসে শাহিনুরকে এরশাদ উল্যাহর বসত ঘরের বারান্দায় চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় আবু তাহের ও এরশাদ উল্যাহ বলেন শাহীনুর আত্মহত্যা করেছে এবং কোন মামলা করার প্রয়োজন নেই বলে চাপ প্রয়োগ করেন। শহীদুল্লাহর বিষয়টি সন্দেহ হলে কচুয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ শাহিনুরের পিতা শহীদুল্লাহ কচুয়া থানায় এরশাদ উল্যাহ ও আবু তাহের মুন্সীকে আসামী করে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদেরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন।

সরকার পক্ষের আইনীজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্যাহ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা চৌধুরী একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। প্রায় ৩ বছর মামলা চলমান অবস্থায় আদালত ১৮জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। সাক্ষ্য প্রমান ও নথি পর্যালোচনা করে বিচারক আসামীদের উপস্থিতিতে শাহিনুরের স্বামী এরশাদ উল্যাহকে মৃত্যুদণ্ড এবং চাচা আবু তাহের মুন্সীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদণ্ড

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ