পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাল সবুজ নীল হলুদসহ বিভিন্ন রংয়ের রঙ্গীন হাত পাখা নিয়ে রাজশাহী মহানগরীতে প্রচারণা চালান ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ও বুলবুলের প্রচার প্রচারণার পাশপাশি আরো তিনজন প্রার্থী রয়েছেন মাঠে। এদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী এ্যাড. মুরাদ মোর্শেদ আর বাংলাদেশ জাতীয় পাটির মো: হাবিবুর রহমান। গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীর পক্ষে শুরু থেকে জোনায়েদ সাকি রাজশাহীতে অবস্থান করে তার সমর্থিত প্রার্থী হাতি মার্কা পক্ষে নগরীতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বসে নেই ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীও। তারা গতকাল রংবেরংয়ের হাতপাখা নিয়ে তাদের প্রার্থীর সমর্থনে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার, মনিচত্ত¡র এলাকায় প্রচারণা চালান। দুপুরে সোনাদিঘী মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় শেষে গেটের সামনে দাড়িয়ে মুসল্লিদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। আরেক প্রার্থী হাবিবুর রহমান একাই প্রচারপত্র নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন।
লিটনের গণসংযোগ
গতকাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর বনপুকুর এলাকা থেকে দিনের গণসংযোগ শুরু করেন এরপর কাদিরগঞ্জ, কাদিগরঞ্জ গ্রেটার রোড এলাকা, দড়িখরবনা ও নিউ মার্কেট এলাকায় দুপুর পর্যন্ত গণসংযোগ করেন।
বনপুকুর এলাকায় গণসংযোগের শুরুতে সমবেত জনতার উদ্দেশে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্বীপনার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত এমন পরিবেশ বজায় থাকবে।
বিএনপির সদ্য বিদায়ী মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সমালোচনা করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপির মেয়রের কারণে রাজশাহী অনেক পিছিয়ে গেল। গত ৫ বছরের কোনো উন্নয়নি হয়নি। যারা কাজ করতে পারেননি, তাদের নতুন করে দেখার সুযোগ নাই।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করে রাজশাহীতে গ্যাস এনেছি। অনেক বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। আগামীতে মেয়র নির্বাচন হলে মা- বোনদের রান্নার সুবিধার জন্যে ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। শিল্পকারখানা তৈরি করে এক লাখ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিসিক শিল্প এলাকায় রাজশাহী সিল্ক মিলস্ লি. আয়োজিত একটি নির্বাচনী সভা শালবাগান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দড়িখরবনা ও নিউ মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন।
বিএনপি প্রার্থী বুলবুলের গণসংযোগ
রাজশাহী মিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকাল সকাল থেকে রাত অবদি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, পুঠিয়া দূর্গাপুরের সাবেক এমপি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তাফা, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ নেতৃবৃন্দ। গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, বিএনপি পূর্ব থেকেই একটি সুশৃংখল ও সুসংগঠিত একটি দল। বর্তমানে আরো সুসংগঠতি হয়েছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে বিএনপি’র অবস্থা আরো ভালো হচ্ছে। বিএনপি প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আইনশৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা ও গ্রেফতার করছে। সেইসাথে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী সেন্টার ভাঙচুর করছে। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছেঁড়া অব্যাহত রয়েছে। বুলবুল বলেন, যতই বাধা ও নির্যাতন বিএনপি নেতাদরে উপর আসুক না কেন বিএনপি নির্বাচন বয়কট করবে না।
রাজশাহীতে ধানের শীষ ছাড়া জনগণ অন্যকোন প্রতীক চিন্তা করতে পারে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে সাধারণ ভোটারগণ ভয় করছিলেন। কিন্তু বিএনপি’র গণজোয়ার ও গণমিছিল দেখে জনগণের মধ্যে আরো সাহস সঞ্চার হয়েছে। তারা এখন আওয়ামী লীগ আর ভয় পায়না। সরকারী দল কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নির্বাচনের দিন এবং এখন লিপ্ত হয় তাহলে জনগণ সমোচিত জবাব দেবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, কালো টাকা ছড়িয়েও কোন লাভ হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। খায়রুজ্জামান লিটনের আমলে রাজশাহী সিটিতে কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি। সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনুর আমলে পাসকৃত প্রকল্প তিনি শুধু বাস্তবায়ন করেছেন। সিটিকে সাজানোর জন্য নতুন কোন ধারনা তার মাথায় ছিলনা এখনো নাই। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন সিটিকে সরকারী দলীয় মেয়র প্রার্থী বদলিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক ব্যবসা ও টেন্ডার বাজি করে সিটির সুনাম নষ্ট করার জন্য বদলাতে চান বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।